Civic volunteer Wife Death: জামাই সিভিক হওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি! শেষপর্যন্ত ঘটে গেল মারাত্মক ঘটনা

Civic volunteer Wife Death: ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত প্রদীপ মণ্ডল। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। আপাতত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে

Updated By: Dec 18, 2023, 03:47 PM IST
Civic volunteer Wife Death: জামাই সিভিক হওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি! শেষপর্যন্ত ঘটে গেল মারাত্মক ঘটনা

তথাগত চক্রবর্তী: গৃহবধূকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপিঠ কোস্টাল থানা এলাকার ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, জামাই সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ায় আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায়নি।

আরও পড়ুন-আধার-পাসপোর্ট-সহ ৮১ কোটি ভারতীয় ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ডার্ক ওয়েবে! কেন্দ্রকে বিঁধল তৃণমূল

মৃত গৃহবধূর নাম টিয়া মণ্ডল। বছর বারো আগে তার সঙ্গে বিয়ে হয় মধ্য গুড়গুড়িয়ার বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডলের। গতকাল টিয়ার বাড়ির লোকজন ফোন পান যে টিয়া অসুস্থ। বাড়ির লোক গিয়ে দেখেন টিয়ার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, পিটিয়ে মারা হয়েছে টিয়াকে।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত প্রদীপ মণ্ডল। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। আপাতত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

গ্রামের বাসিন্দা মানবেন্দ্র গায়েন বলেন, গ্রাম সম্পর্কে ভাইঝি। বছর বারো আগে সম্মন্ধ করে বিয়ে হয় মধ্য গুড়গুড়িয়ার প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে। সিভিকে কাজ করে। বর্তমানে ও সিভিকের আইবি। প্রায়ই ওদের মধ্যে ঝামেলা হতো। এনিয়ে ২-৩ বার বসাও হয়েছে। আাগামিকাল হঠাত্ ফোন আসে যে মেয়ের খুব অবস্থা খারাপ। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মেয়েটি মারা গিয়েছে। ওদের বাচ্চাটিকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে বাবা ও মায়ের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। বাবা মাকে মারধর করেছে। আমাদের সন্দেহ মেয়েটিকে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মৃতার দাদা অশোক মণ্ডল বলেন, মধ্য গুড়গুড়িয়ার প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে বোনের বিয়ে হয়েছিল। এখন ওদের একটি বাচ্চা আছে। বিয়ের পর থেকেই ওদের মধ্যে ঝামেলা হতো। কয়েকবার মীমাংসাও হয়েছিল। প্রদীপ সিভিকের আইবির দায়িত্বে থাকার জন্য ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। গতকাল বোনের স্বামী ফোন করে বলে তোমাদের মেয়ে গলা দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গিয়ে দেখলাম বোনের হাতের শাঁখা ভেঙে গিয়েছে, গোটা গায়ে মারের দাগ। ভাগ্না বলল বাব-মা প্রবল গন্ডগোল করছিল। বাবা-মাকে মারধর করে মেরে টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। তারপর আমাকে কাকাদের বাড়িতে এনে রেখেছে। ওদের পরিবারের সবাই এর সঙ্গে জড়িত।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.