অধিকার পেতে আদালতে গৃহবধূ, ছুরি নিয়ে ‘হামলা’ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের
২০১২ সালে প্রেম করে মন্তেশ্বরের রাউত গ্রামের সীমন্ত বন্ধুর সঙ্গে বিয়ে হয় রিয়া মন্ডলের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেম করে বিয়ে মেনে নিতে চাননি ছেলের বাড়ির সদস্যরা। আদালতে গিয়েই নিজের অধিকার প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন গৃহবধূ। আদালতে যাওয়ার পথেই গৃহবধূকে ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। আহত ওই গৃহবধূ কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২০১২ সালে প্রেম করে মন্তেশ্বরের রাউত গ্রামের সীমন্ত বন্ধুর সঙ্গে বিয়ে হয় রিয়া মন্ডলের। প্রেম করে বিয়ে মেনে নিতে চাইনি সীমন্তর বাবা প্রণব বন্ধু। নানা সময়ই রিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। তারপরই আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন রিয়া। বিচ্ছেদের মামলা চলতেই থাকে। মামলা চলাকালীন স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্কের তিক্ততাও বাড়ে।
হালিসহর পুরসভা পুনর্দখল তৃণমূলের, দলে ফিরলেন চেয়ারম্যান-সহ ১২ কাউন্সিলর
অবশেষে আদালত রিয়ার স্বামীকে প্রতি মাসে হাজার টাকা করে খোরপোষের দিতে বলে। আদালতে সীমান্ত দাবি করতে থাকেন, রিয়া তাঁর স্ত্রী নন। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার আদালতে বিয়ের বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন রিয়া। অভিযোগ, বাস থেকে নেমে হেঁটে আদালতে যাওয়ার সময় হঠাৎই পিছন থেকে ছুরি দিয়ে হামলা হয় রিয়ার ওপর। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রিয়ার। নির্যাতিতার আইনজীবী অলক কুমার ঘোষ জানান, তাঁর মক্কেলকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে এই মামলা থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য।