কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুন স্বামীর

৭ বছর আগে সুমন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় পুজার। দম্পতির একটি মেয়ে হয়।

Updated By: Nov 12, 2018, 06:14 PM IST
কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুন স্বামীর
মৃতা পূজা দাস (বাঁদিকে), বাবা গুরুপদ দাস (ডানদিকে)

নিজস্ব প্রতিবেদন : কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার 'অপরাধ'। সেই 'অপরাধ'-এ এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম পুজা দাস। বয়স ২৩ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার শ্যামসুন্দরের শিবরামপুরে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিস।

বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার

পূজা দাসের বাবা গুরুপদ দাস জানিয়েছেন, প্রায় ৭ বছর আগে সুমন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় পুজার। সুমন দাস পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার পাশাপাশি পপকর্নও বিক্রি করেন। গুরুপদবাবুর অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁর মেয়ে পূজার উপর নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কখনও শারীরিক নির্যাতন, কখনও মানসিক নির্যাতন।

আরও পড়ুন, কীসের একটা 'হাল্কা শব্দ' ভেসে আসছে, ঘরে পা দিয়েই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন গৃহকর্ত্রী

এরমধ্যে দম্পতির একটি মেয়ে হয়। অভিযোগ, কন্যাসন্তান হওয়া পর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে। প্রায়শই মারধর করা হত পূজাকে। সমস্যা মেটাতে বেশ কয়েকবার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পূজার বাপের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। কমেনি পূজার উপর অত্যাচারের মাত্রাও।

আরও পড়ুন, সম্পর্কে রাজি না হতেই ধর্ষণ! বিয়ে অন্য যুবতিকে, চরম পদক্ষেপ নির্যাতিতা নাবালিকার

গৃহবধূর গায়ে আগুন

অভিযোগ, এরপরই শনিবার পূজার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যখন তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করছে, তখনই তাঁর চিত্কারে ছুটে আসেন পড়শিরা। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পূজাকে উদ্ধার করেন তাঁরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

আরও পড়ুন, পরিচয় 'ভাড়িয়ে' নার্সিংহোমে তাণ্ডব 'তৃণমূল নেতার'! সিসিটিভিতে ধরা পড়ল কুকীর্তি

পুলিসি তদন্ত

এই ঘটনায় স্বামী সুমন দাস সহ শ্বশুরবাড়ির ৪ জনের বিরুদ্ধে রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পূজার বাপের বাড়ির লোকেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ৪ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে। গৃহবধূ খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

.