Kalna: 'কালো বউ' পছন্দ নয়, পরকীয়া স্বামীর! বিয়ের বছর ঘুরতেই চরম মূল্য চোকাল যুবতী নববধূ
"ছবি দেখে প্রথমে এত কালো বুঝতে পারিনি।" ৩ বছর আগে নিজের ছবি এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন সরোজিনী। সেই ছবি দেখে পছন্দ হয়ে যায় দেবার্ঘ্যর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গায়ের রং কালো। তাই বিয়ের পর থেকে আর বউকে পছন্দ হত না স্বামীর। অভিযোগ, বউয়ের গায়ের রং কালো বলে, শ্বশুরবাড়িতে দিনরাত তাঁকে গঞ্জনার শিকার হতে হত। স্বামী থেকে শ্বশুর-শাশুড়ি, সবাই মিলে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। এমনকি, বউয়ের গায়ের রং কালো বলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়ে স্বামী। আর এরপরই রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হল ওই যুবতী গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি কালনার পূর্বস্থলীর বড় ধামাস এলাকার।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, গায়ের রঙের জন্য গঞ্জনা, লাঞ্ছনা, যাতনার শিকার হয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই গৃহবধূ। মৃতার নাম সরোজিনী ঘোষ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলী থানার পুলিস। স্বামী দেবার্ঘ্য ঘোষ ও শ্বশুর বাবলু ঘোষকে গ্রেফতার করে এদিন কালনা আদালতে পাঠায় পুলিস।অন্যদিকে দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিস।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ বছর আগে নিজের ছবি এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন হুগলির ভদ্রেশ্বরের এন এস রোড ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা সরোজিনী ঘোষ। সেই ছবি দেখে পছন্দ হয়ে যায় কালনার পূর্বস্থলীর মাজিদা পঞ্চায়েতের বড় ধামাস গ্রামের বাসিন্দা দেবার্ঘ্য ঘোষের। তারপর সোশ্যাল মিডিয়াতেই দুজনের আলাপ। ধীরে ধীরে সেই আলাপ বদলে যায় ঘনিষ্ঠতায়। এরপর দুজনই বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নেয়।
বিয়ের পর প্রথম এক বছর সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু তারপরই নতুন বউয়ের গায়ের রংকে কেন্দ্র করে সংসারের ছন্দপতন হয়। নববধূর গায়ের রং কালো বলে শুরু হয় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গঞ্জনা, সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। মৃতার বাপেরবাড়ির লোকেদের অভিযোগ, নানারকমভাবে অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মারধর করত। এমনকি জামাই এও বলত যে, "ফেসবুকে ছবি দেখে প্রথমে এত কালো বুঝতে পারিনি।" জামাইয়ের অন্য জায়গায় সম্পর্কও ছিল বলে অভিযোগ তাঁদের।
আরও পড়ুন, Heatwave: প্রবল গরমের সাথে তাপপ্রবাহ, কমানো হল স্কুলের সময়