বিরোধী জোটকে অটুট রাখতে কি মমতার অস্ত্রেই বাজিমাত কুমারস্বামীর?
কমলিকা সেনগুপ্ত
কমলিকা সেনগুপ্ত
দূরে থেকেও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল তাঁর পরামর্শ। কর্ণাটকে বিজেপি সরকারের পতনে প্রচ্ছন্নে তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বিরোধী রাজনীতিতে ফের একবার নিজের দক্ষতা চেনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কর্ণাটকের ফল বেরোতেই নিজের প্রতিক্রিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কংগ্রেস - জেডিএস জোট হলে ফল হত অন্যরকম।' যদিও ততক্ষণে দিল্লি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে জোট তত্পরতা। বেঙ্গালুরু পৌঁছে গিয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা গুলাম নবি আজাদ ও লোকসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। ঘণ্টাকয়েকের মধ্যেই দানা বাঁধে জোট। জেডিএসকে নিঃশর্ত সমর্থন ঘোষণা করে কংগ্রেস।
সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল ইয়েদুরাপ্পাকে আমন্ত্রণ জানালে জেডিএস ও কংগ্রেস শিবিরে ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়। তখনই কুমারস্বামীকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিএসএর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে তিনটি পরামর্শ দেন তিনি।
মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিরোধীদের নিয়ে জোটের ইঙ্গিত রাহুলের
মমতা বলেন,
১. সরকার গঠনের জন্য কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কদের প্রলোভন দেওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি। ফোনে বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে তারা। সেই সব অডিও ক্লিপ সাংবাদিক বৈঠক করে প্রকাশ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন মমতা।
২. একই সঙ্গে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন মমতা।
৩. আইনি লড়াইয়ের রাস্তাও খোলা রাখতে বলেন তিনি।
শনিবার কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থাভোটের আগেই পদত্যাগ করেন ইয়েদুরাপ্পা। সঙ্গে সঙ্গে টুইটে প্রতিক্রিয়া জানান মমতা। টুইটে তিনি লেখেন, 'গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। দেবগৌড়া, কুমারস্বামী, কংগ্রেস ও অন্যান্যদের শুভেচ্ছা। আঞ্চলিক জোটের জয় হল।'
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিরোধী আসনে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোচ্চার অনড় অবস্থান মনোবল জুগিয়েছে কর্ণাটকের কংগ্রেস - জেডিএস জোটকে। তার জেরেই বেঙ্গালুরুতে জয়ের উচ্ছ্বাস আছড়ে পড়েছে কলকাতাতেও।