রুপোর চেন কিনতে এসে রেইকি! ডাকাতদের প্রথম টার্গেট ছিল হাওড়ার সোনার দোকান
১৮ মে দুষ্কৃতীরা তাঁর দোকানে একটি রূপোর চেন কিনতে এসে দেখে যায় দোকানটি। এরপরে গোটা এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট ঘুরে দেখে রেইকি করে তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ মে দোকান লুঠের উদ্দেশ্যে সকাল সকাল উপস্থিত হয়েছিল দোকানের বাইরে।

দেবব্রত ঘোষ: ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ডাকাতদের প্রথম টার্গেট ছিল হাওড়া কদমতলার এক সোনার দোকান। সেই কথা জানার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন হাওড়ার ওই দোকানের স্বর্ণ ব্যবসায়ী যীশু কৃষ্ণ আড়ি।
শুক্রবার সকালে তাঁর দোকানে সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীদের নিয়ে উপস্থিত হন হাওড়া সিটি পুলিস ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাদের কাছ থেকেই তিনি জানতে পারেন ডাকাতদের প্রথম টার্গেট ছিল তাঁর দোকান। গত ১৮ মে দুষ্কৃতীরা তাঁর দোকানে একটি রূপোর চেন কিনতে এসে দেখে যায় দোকানটি। এরপরে গোটা এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট ঘুরে দেখে রেইকি করে তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ মে এই দোকান লুঠ করত তারা। সেইমতো সকাল সকাল উপস্থিত হয়েছিল দোকানের বাইরে। তবে দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু খদ্দের দোকানে চলে আসায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় তাদের।
পরবর্তীতে তারা ব্যারাকপুরে অপারেশন চালায়। গোটা ঘটনা হাওড়ার ওই দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তদন্তের স্বার্থে পুলিস আধিকারিকরা সেই সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছেন । গোটা বিষয়টি জানার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। একইসঙ্গে নিরাপত্তাহীনতাতেও ভুগছেন তিনি। তিনি চাইছেন গোটা এলাকায় পুলিসি টহলদারি যেন আরও বাড়ানো হয়। একইসঙ্গে এই নিয়ে হাওড়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি আবেদনও করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য বেশ কয়েক বছর আগে হাওড়ার এই দোকানে একবার ডাকাতি হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, হাওড়ার কদমতলার ওই দোকানে পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পরই বুধবার সন্ধেয় ব্যারাকপুরের ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে একদল ডাকাত। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকে তারা। সকলেরই মাথায় ছিল হেলমেট। অভিযোগ, দোকানে ঢুকে একসঙ্গে অনেক গয়না দেখতে চায় দুষ্কৃতীরা। এরপর যখন দোকান মালিকের সঙ্গে বচসা শুরু হয়, তখন ৪ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় সোনার দোকানে এলোপাথারি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। স্রেফ দোকান মালিক নন, গুলিবিদ্ধ হন তাঁর ছেলে ও দোকানের এক কর্মচারীও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালিক পুত্রের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দোকান মালিক ও এক কর্মচারীকে।
আরও পড়ুন, Sougata Roy: 'সব পুলিসকর্মী ভালো নয়, ঘুষ খায় কাজ করে না!' বিস্ফোরক সাংসদ সৌগত