শিবপুরে টাকা উদ্ধারকাণ্ডে নয়া মোড়, গ্রেফতার পান্ডে ভাইয়েরা
তদন্তকারীদের বক্তব্য হল IX global নামের ওই অ্যাপের মাধ্যমে বিশাল জালিয়াতি চলছিল। আপে ডলারে পেমেন্ট নেওয়া হতো। ভারতে ওই অ্যাপটি নিয়ন্ত্রণ করতো শৈলেশ পান্ডেরা।
পিয়ালি মিত্র: হাওড়া টাকা উদ্ধার কাণ্ডে গ্রেফতার হল পান্ডে ভাইয়েরা। ওড়িশা ও গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পান্ডে, অরবিন্দ, রহিত পান্ডে এবং তাদের এক সহযোগী। ওড়িশার রৌরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। হাওড়ার শিবপুরের একটি আবাসনের পার্কিং লটের গাড়ি থেকে পাওয়া যায় ২ কোটিরও বেশি টাকা, সোনা-রুপো-হিরের গহনা। সেই ঘটনায় অভিযুক্তের ফ্ল্যাটে হানা দিল কলকাতা পুলিসের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শাখা।
আরও পড়ুন, বাংলায় গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই, চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিসের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে সরব দিলীপ
গত রবিবার বিকেলে শিবপুর থানার অফিসারদের নিয়ে ওই আবাসনের ৩ নম্বর টাওয়ারের সেকেন্ড ফ্লোরের ২ডি নম্বর ফ্ল্য়াটে আসে তদন্তকারী দল। একজন চাবি তৈরির কারিগরকে সঙ্গে নিয়ে এসে ফ্ল্যাটের ২টি চাবি ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। পরে উদ্ধার হয় পার্কিং লটে গাড়িতে টাকা, ফ্ল্য়াটের বক্স খাটের ভেতরে থরে থরে সাজানো টাকা, ব্যাঙ্কে টাকার পাহাড়। ব্যাঙ্কে এক মাসে ৭৭ কোটি টাকা লেনদেন। হাওড়ার শিবপুরের মন্দিরতলায় শৈলেশ পান্ডের ওই যকের ধনের খোঁজখবর নিতে গিয়ে অবাক হন তদন্তকারীরা।
এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীদের বক্তব্য হল IX global নামের ওই অ্যাপের মাধ্যমে বিশাল জালিয়াতি চলছিল। আপে ডলারে পেমেন্ট নেওয়া হতো। ভারতে ওই অ্যাপটি নিয়ন্ত্রণ করতো শৈলেশ পান্ডেরা। তার কাজ ছিল বিভিন্ন ভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা। ওইসব অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা পড়ত তা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসা। অনেকদিন পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে এদিন পুলিসের হাতে ধরা পড়ে শৈলেশ।
আরও পড়ুন, Snake Venom: ফাঁসিদেওয়ায় ৩০ কোটি টাকার সাপের বিষ পাচারের পেছনে এই চিকিত্সক!