আমডাঙায় সংঘর্ষে মৃত ৩, স্থগিত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন
আমডাঙায় সংঘর্ষে মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছে যান বিধায়ক রফিকুর রহমান এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে বোমাবাজিতে উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭ জন। সকলেই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এর জেরেই স্থগিত হয়েছে বোর্ড গঠন। বুধবার সকাল থেকেই থমথমে রয়েছে আমডাঙা। টানাটেনি গ্রামে চলছে পুলিসের রুটমার্চ। এই এলাকা থেকেই গতকাল সংঘর্ষের জেরে গ্রেফতার হয়েছে ১০ জন, আটক করা হয়েছে ৯ জনকে।
আরও পড়ুন - পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তপ্ত দিনহাটা
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙায় মঙ্গলবার তৃণমূল-সিপিএম ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। আমডাঙার মরিচা, বোদাই ও তারাবেড়িতে বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে এলাকায় নির্বিচারে গোলাগুলি চলে। বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে এলোপাথাড়ি বোমাবাজিও শুরু হয়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বহিসগাছি এবং তারাবেড়িয়া এলাকা। বোমাবাজি ও গোলাগুলিতে মৃত্যু হয় নাসির হালদার এবং কুদ্দুস গনির। আহত হন বেশ কয়েকজন। আমডাঙা-সহ প্রায় চারটি থানার পুলিস বাহিনী দীর্ঘক্ষণ এলাকায় ঢুকতে পারেনি। পরে রাতের দিকে পুলিস ঢুকে মৃতদের দেহ বের করে নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আরজি কর ও বারাকপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন - জিতেও বোর্ড গঠন করতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস
আমডাঙায় সংঘর্ষে মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছে যান বিধায়ক রফিকুর রহমান এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা দাবি করেন, বাইরে থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে আগে থেকেই মজুত করে রাখা ছিল। এদিকে আমডাঙায় সংঘর্ষে আহত মুজফফর আহমেদের মৃত্যু হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। ঘটনায় আহত আরও ৬ জন ভর্তি রয়েছেন আরজি কর হাসপাতালে। আহতদের হাসপাতালে আনার পর থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিস। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসপাতাল চত্বর থেকেই আমডাঙার সিপিএম নেতা আহমেদ খান-সহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - প্রেমে হাবুডুবু! বিয়ে করতে ইউক্রেন থেকে আরামবাগ ছুটে এলেন রুশ তরুণী
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই থমথমে আমডাঙা। টেনাটেনি গ্রামে চলছে পুলিসের রুটমার্চ। আমডাঙা-সহ চারটি থানার পুলিস গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছে। রাস্তা ঘাটে গতকালের সংঘর্ষের ছাপ এখনও স্পষ্ট। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে তাজা বোমা এবং বোমাবাজির চিহ্নও। বেশ কিছু বাড়ি ও খড়ের গাদায় এখনও জ্বলছে আগুন।