মেঝেতে স্ত্রীর মাথা ঠুকে দেয় মত্ত স্বামী, পরিণতি মর্মান্তিক
দোতলার ঘর থেকে গৃহবধূ পল্লবী মিত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ লেগেছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলীর কোন্নগরে। মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতার নাম পল্লবী মিত্র। বয়স ৩৫ বছর। অভিযুক্ত স্বামী সুজয় মিত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, শত্রুর শত্রুদের সঙ্গে জোট করে সরফুদ্দিনকে খুনের ছক বাবুয়ার!
কোন্নগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিসি ঘোষাল লেনের বাসিন্দা ছিলেন পল্লবী মিত্র। শনিবার গতকাল গভীর রাতে দোতলার ঘর থেকে গৃহবধূ পল্লবী মিত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ লেগেছিল। গৃহবধূর মাথায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ করেছে মৃতার বাপের বাড়ির পরিবার।
আরও পড়ুন,পেটির দাপটে সোম-মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
পল্লবী মিত্রের বাপের বাড়ির অভিযোগ, অত্যধিক মদ্যপান করত সুজয় মিত্র। এই কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। বহুদিন ধরেই গন্ডগোল চলছিল। রোজ মদ খেয়ে এসে বাড়িতে অত্যাচার করত সুজয় মিত্র। বহুবার তাদের তরফে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি।
আরও পড়ুন, খাঁটি মদ তৈরিতে উদ্যোগী সরকার, পরিশুদ্ধ জল ব্যবহারের নির্দেশ
মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই স্বামী সুজয় মিত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিসের প্রাথমিকভাবে অনুমান, মেঝেতে মাথা ঠুকে খুন করা হয়েছে পল্লবী মিত্রকে।