Udayan Guha: বাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগাতে হবে নইলে বুঝব সরষের মধ্যেই ভূত, বিস্ফোরক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী
Udayan Guha:গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে পুরভোটের প্রচারে গিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিদারদের হুঁশিয়ারি দেন উদয়ন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি তুফানগঞ্জের সভায় বলেন, বাণেশ্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেখানে তিনি উন্নয়নের কথা বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি চলে যেতেই বিজেপির নেতারা ওই একই জায়গায় গিয়ে সভা করে পৃথক রাজ্যের দাবি করেছেন
দেবজ্যোতি কাহালি: বাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে বাড়ি চিহ্নিত করতে হবে। ওই কাজ শেষ করে ফেলতে হবে পনের দিনের মধ্যে। তা না হলে বুঝতে হবে সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বিস্ফোরক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।
আরও পড়ুন-পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক হওয়ার পর এই প্রথম! অঘটনের পর রোহিত কী বললেন?
সোমবার দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের দিনহাটা ভিলেজ ওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন উদয়ন গুহ। সেখানেই তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভাষায় বিরোধীদের নিশানা করেন। উদয়ন বলেন, শুধু ভোটে জেতা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। এত মা-বোন, এত গরিব মানুষ, এত সাধারণ মানুষ-যাঁদের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কেউ ভাবে না। তার পরেও যদি এই বুথ একটা বিজেপি বের হয়, একটা সিপিএম বের হয় তাহলে বুঝতে হবে গদ্দার আমাদের মধ্যেই রয়েছে। তারা দিনের বেলা আমাদের সঙ্গে থেকে রাতে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে। এদের চিহ্নিত করতে হবে।
এখানেই থেমে থাকেননি উদয়ন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, যারা বিরোধীদের তলে তলে ভোট দেয় তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের দেখে নিতে হবে। দেখতে হবে দুই নৌকায় পা দিয়ে এরা যাতে গ্রামের ক্ষতি করতে না পারে। সেই নজর রাখার কাজ করবে এই বুথের পুরুষ ভাইরা। আাগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই বুথের প্রত্যেকটা বাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দিতে হবে। ওইসব বাড়িকে চিহ্নিত করে দিতে হবে, এই বাড়ি তৃণমূলের বাড়ি। এখানে অন্য কারও ঠাঁই নেই। আমরা দেখতে চাই ১৫ দিনের মধ্যে প্রত্যেকটা বাড়িকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছায় মালিক যেন এসে বলেন, আমার বাড়িতে পতাকা লাগাও।
গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে পুরভোটের প্রচারে গিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিদারদের হুঁশিয়ারি দেন উদয়ন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি তুফানগঞ্জের সভায় বলেন, বাণেশ্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। সেখানে তিনি উন্নয়নের কথা বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি চলে যেতেই বিজেপির নেতারা ওই একই জায়গায় গিয়ে সভা করে পৃথক রাজ্যের দাবি করেছেন। কে ছিলেন সেই দলে? নিশীথ প্রমাণিক(Nisith Pramanik) ও তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা(Malati Rava) আলাদা রাজ্যের দাবি করেছেন। একটা কথা জেনে রাখুন, যারা আলাদা রাজ্যের দাবি করবেন তাদের যদি হিম্মত থাকে তাহলে কোচবিহারের যে কোনও জায়গায় মিছিল করে আলাদা রাজ্যের দাবি করুন। আস্ত হাঁটু নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন না। এখানে থাকবেন আর আলাদা রাজ্যের দাবি করবেন?