Asansol: 'ছেলের খুনিকে আমি দেখিনি'! আদালতের ধৃতদের বিরুদ্ধে সাক্ষীই দিলেন না ইমাম
বেকসুর খালাস পেয়ে গেল ২ অভিযুক্ত।

নিজস্ব প্রতিবেদন: গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিজের ছেলেকে হারিয়েছেন। কারা খুন করল? আদালতে সাক্ষী দিতে রাজি হলেন না, বরং বললেন যে, 'কারা খুন করেছে, তা নিজে চোখে দেখেননি'। ফের মানবিকতার বার্তা দিলেন আসানসোলের ইমাম ইমদাদউল্লা রশিদি।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। সেবার রামনবমীর দিনে প্রথমে গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয় রানীগঞ্জে, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের রেলপাড় এলাকায়। বেশ কয়েকজন খুন হন। মামলা করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দুই গোষ্ঠীরই বেশ কয়েকজনকে। বহুদিন সেই মামলা চলার পর শেষপর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে জামিনও পেয়ে যান ধৃতেরা।
আরও পড়ুন: Malda Blast: মালদহে কালিয়াচক বিস্ফোরণ, শিশুর মৃত্যু
চার বছর পর অবশেষে সেই মামলা নিষ্পত্তি হল। তাও আবার রামনবমীর প্রাক্কালেই! কিন্তু যারা এই মামলায় অভিযুক্ত ছিল, তারা সকলেই বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন। কেন? ১০ জন সাক্ষীর কেউ আদালতে বলেননি যে, তাঁরা নিজে চোখে দেখেছেন যে, কে বা কারা খুন করেছে। এমনকী, নিজের ছেলে খুন হওয়ার পরেও ইমাম ইমদাদউল্লা রশিদি ও তাঁর আত্মীয়রা আদালতে বলেন, তাঁরা সত্যিই দেখেননি তাঁদের ছেলেকে কে বা কারা খুন করেছে! ফলে দশম শ্রেণির পড়ুয়া সিবগতউল্লা অপহরণ ও খুনের মামলা থেকে মুক্তি পেল অভিযুক্ত পিন্টু যাদব ও বিনয় তিওয়ারি।
আরও পড়ুন:Falaknuma Express: ৩ বগি ছাড়াই ছুটছে ট্রেন! চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন যাত্রীরা
এই মামলায় অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু বলেন, 'অন্যতম সাক্ষী নিহতের বাবা ইমদাদউল্লা রশিদি আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি যেহেতু নিজের চোখে কাউকে খুন করতে দেখেননি তাই তিনি সাক্ষ্য কী করে দেবেন। আর যারা সাক্ষী হিসেবে ছিলেন তাঁরাও জানিয়ে দেন তারা এদের কাউকে খুন করতে দেখেননি'। সহকারী প্রধান আইনজীবী স্বরাজ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমার ৭১ বছর বয়স হল। আমি ৪৮ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছি। কিন্তু একজন খুন হওয়া পুত্রের পিতা সাক্ষী হিসেবে এলেন না যেহেতু তিনি দেখেননি, এটা আমার কাছে নজিরবিহীন'।