Dutttapukur Blast: বিস্ফোরণের পেছনে আইএসএফ নেতা! চাঞ্চল্যকর দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
Dutttapukur Blast: যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে তার উল্টোদিকের বাড়ির একটি দরজা ভেঙে গিয়েছে। দেওয়াল থেকে প্লাস্টার খসে পড়েছে। দেওয়ালে ফাটল ধরে গিয়েছে। প্রতিটি জানালা, দরজা, প্রতিটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দত্তপুকুরে বাজি কারখানার 'পার্টনার' সামসুল আলম নাকি তৃণমূল কর্মী। এমনটাই দাবি করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এনিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন নাকি কোনও রাজনৈতিক দল দাবি করছে, সেটাই প্রশ্ন। এলাকার আইএসএফ নেতা রমযান আলি ওরফে কালো মুর্শিদাবাদের এক বাজি ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে ওখানে বিভিন্ন গোডাউন ভাড়া নিয়েছেন। তাঁর বাড়িতে আইএসএফের অফিসও রয়েছে। যে বুথে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে এবার আইএসএফ জিতেছে। এটা আসলে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য প্রচার করা হয়েছে। ওখানে যে বাজি তৈরি হয়েছে তা আমরা জানতাম না। এখন একটা ঘটনা ঘটছে যা দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন ওই রমযানের বাড়িতে বাজির স্টক আছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন আমাদের বারাসত, নীলগঞ্জে একটাই বাজির জায়গা ছিল, সেটি হল নারায়ণপুর। সেখানে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-দত্তপুকুরে বাজি কারখানার বিস্ফোরণে উড়ল একাধিক বাড়ির ছাদ, নিহত কমপক্ষে ৭
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন বাজি কারখানা নিয়ে পুলিসকে বলার পরও কিছু হয়নি। এনিয়ে রথীনবাবু বলেন, 'আমার কাছে কেউ কখনও অভিযোগ করেনি। যারা এই ঘটনার মূল কারিগর সেই রমযান ও কালো তাদের কেন সামনে আনা হ্চ্ছে না। কালো আইএসএফ নেতা। আমরাও বলতে পারি এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য চেষ্টা করছে। ' ওই ঘটনায় বিজেপি এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে। রথীনবাবু বলেন, ওরা তো সব বিষয়ে এনআইএ, ইডি, সিবিআই চায়। চাইতেই পারে। তদন্ত হলে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
এদিকে, ঘটনা নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। জানি না বাজি কারখানার আড়ালে কী হচ্ছিল যার ফলে ওখানে এতগুলো মানুষ মারা গেলেন। মুর্শিদাবাদের লোকজনবকে নিয়ে ওখানে কাজ করানো হতো। কী এমন বিস্ফোরক ওখানে ছিল যে আসপাশের এতগুলো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হল? ওখান আমাদের যিনি বুথের সভাপতি তাঁর মা-ও মারা গিয়েছেন। একাধিক মহিলা মারা গিয়েছেন। ওই ঘটনায় জড়িত স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। তিনি এখন পলাতক। মালিককে খোঁজ করলেই সত্য উদঘাটন হবে। নেতাদের কাজই হল কোনও কিছু হলেই তা বিরোধীদের উপরে চাপিয়ে দিয়ে মূল অভিযুক্তকে আড়াল করা।
দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তীব্রতার দিক থেকে এই বিস্ফোরণকে এগরার থেকে কোনও অংশ কম নয় বলেই মনে করছে পুলিস। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে তার পাশাপাশি আরও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। আতসবাজি সংগঠনের নেত বাদলা রায়ের অভিযোগ বাজি নয়, বাজি কারখানার আড়ালে ওখানে বোমা তৈরি হতো। কয়েকদিন আগেই বিষয়টি তিনি পুলিসকে বলেছিলেন।
যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে তার উল্টোদিকের বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, 'গত ৫ বছর ধরে কারখানাটি চলছে। পুলিসে অনেকবার অভিযোগ করেছি। নানা রকমের বাজি তৈরি হতো। কিন্তু ভেতরে কী হতো তা জানি না। যিনি কারখানাটি চালাতেন তিনি পাশের গ্রামের বাসিন্দা।' ওই বাড়ির বাসিন্দাদের দাবি ভূমিকম্পের মতো কম্পন হয়েছে। বাড়ির একটি দরজা ভেঙে গিয়েছে। দেওয়াল থেকে প্লাস্টার খসে পড়েছে। দেওয়ালে ফাটল ধরে গিয়েছে। প্রতিটি জানালা দরজা, প্রতিটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।