Jalpaiguri News: ব্যাগে পানের কৌটো! নিরাপত্তার নামে রোগীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ...
হাসপাতালে এসে আউটডোরে লাইন দিয়ে টিকিট কাটেন। এরপর দুজনে মিলে হাসপাতালে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা চেকিং করলে গৌরী দেবীর ব্যাগে পান বোঝাই কৌটো পান। আর এরপরেই ওই নিরাপত্তারক্ষী পানের কৌটো ছুড়ে ফেলে দিয়ে পা দিয়ে পিষে দেয়।
প্রদ্যুত দাস: নিরাপত্তার নামে কড়াকড়ি। পানের কৌটা নিয়ে হাসপাতালে আসায় রোগী ও তার স্ত্রীকে ঘরে আটকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের। পাইলসের সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে এসেছিলেন জলপাইগুড়ি সেন পাড়া এলাকার বাসিন্দা সাধন গোস্বামী ৬২। তার সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী গৌরী গোস্বামী।
আরও পড়ুন, Bangladeshi Dead: ফাঁসিদেওয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ পাচারকারী
হাসপাতালে এসে আউটডোরে লাইন দিয়ে টিকিট কাটেন। এরপর দুজনে মিলে হাসপাতালে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা চেকিং করলে গৌরী দেবীর ব্যাগে পান বোঝাই কৌটো পান। আর এরপরেই ওই নিরাপত্তারক্ষী পানের কৌটো ছুড়ে ফেলে দিয়ে পা দিয়ে পিষে দেয়। আর এরপর শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি। এরপর বিষয়টি গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।
গৌরি গোস্বামী বলেন, 'হাসপাতালে পানের কৌটো নিয়ে ঢোকা যাবে না এই নিয়ম আমার জানা ছিল না। আমার কৌটো ফেলে দিলে আমি প্রতিবাদ করি। বলি আপনারা বলতেন আমি পানের কৌটো বাইরে রেখে আসতাম। এই কথা বলাতেই ওরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা শুরু করে। এরপর প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার স্বামীকে মারধর করে। এরপর আমাদের ঘরে আটকে রাখে।'
সাধন গোস্বামী বলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর টানতে টানতে একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ওঁরা। সাধন গোস্বামীর মেয়ে সোনামণি যাদব বলেন, আমার বাবা অসুস্থ। এই অবস্থায় আমার বাবাকে ওরা মাটিতে ফেলে মারধর করে টানতে টানতে নিয়ে যায়। আমি এদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
প্রত্যক্ষদর্শী সীমা দাস অভিযোগ করে বলেন, যেই কারণে এই ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেলো সেই দোষে তো নিরাপত্তারক্ষীদের শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ এরা নিজেরাই হাসপাতালের ভেতর পান- গুটখা খায়। আর এই মহিলা পান খায়নি, কেবল পানের কৌটো নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিল তাতেই মারধর করল। এদের শাস্তি হওয়া উচিত। ঘটনায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাক্তার কল্যান খাঁ বলেন, সম্প্রতি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। এক রোগীর আত্মীয় ধূমপান করে জানলা দিয়ে সিগারেট ফেলে দেওয়ায় ওই ঘটনা ঘটেছিল। এরপর থেকে আমরা কড়া চেকিং এর নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু আজকের ঘটনা একেবারে অনভিপ্রেত।অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)