টাকা চেয়ে ফোন করতেই ভেসে এল পুলিস অফিসারের কণ্ঠ, আজব কাণ্ড জলপাইগুড়িতে
তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত রকম অভিযোগ অস্বীকার করে ইন্দ্রনীল রায় জানান, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের এর মামলা নিয়ে থানায় এসেছিলেন। তাই তাঁকে পুলিশ ফাঁসিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও আইনজীবী পরিচয় দিয়ে, কখনও আবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছের লোক বলে দিয়ে দিব্যি চলছিল লোক ঠকানোর কারবার। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের জালে পড়ল কোচবিহারের বাসিন্দা প্রতারক ইন্দ্রনীল রায়।
তিনি জলপাইগুড়িতেও শিল্পসমিতি পাড়ার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ইন্দ্রনীল। তাঁকে দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে শনিবার ফোন করেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা মানস রায়। ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে আসে "নমস্কার, কোতয়ালি থানা থেকে বলছি"।
জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের বাসিন্দা মানস রায় জানান, ধার দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে ফোন করার পর পুলিশের গলা শুনে প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে পুলিশ অফিসার সঞ্জু বর্মন বলেন, আপনি যাঁকে ফোন করেছেন তিনি এখন আমাদের হেফাজতে। আপনি থানায় এসে আপনার অভিযোগ দায়ের করুন।
মানসবাবুর দাবি, কয়েক দফায় জমি সংক্রান্ত কাজের জন্য ইন্দ্রনীলবাবুকে ৮৫,০০০ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কাজ তো হয়ইনি, মেলেনি টাকাও।
কোচবিহারে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে এলোপাথাড়ি কোপাল বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থকরা
তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত রকম অভিযোগ অস্বীকার করে ইন্দ্রনীল রায় জানান, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের এর মামলা নিয়ে থানায় এসেছিলেন। তাই তাঁকে পুলিশ ফাঁসিয়েছে।
জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার আই সি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানিয়েছেন, ধৃতকে আমরা একে বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজছিলাম। এই ব্যক্তি নেতা, মন্ত্রী,আধিকারিকদের নাম করে বহু প্রতারণা করছে। এমনকী পুলশের সাথেও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ।