Khidirpur: বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে আদি গঙ্গায় ঝাঁপ, কিশোরের মর্মান্তিক পরিণতি
প্রায় ১৯ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর খিদিরপুর থেকে দাইঘাটের দিকে যে ক্যানেলটি গিয়েছে, সেখানে উদ্ধার হয় দেহটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ব্রিজ থেকে আদি গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিল কিশোর। প্রায় ১৯ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর, অবশেষে ওই কিশোরের দেহ মিলল ক্যানেলে। নাম আরফাদ হুসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে খিদিরপুর আদি গঙ্গায়। জানা গিয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে বাজি হয়েছিল যে ব্রিজ থেকে আদি গঙ্গায় ঝাঁপ মারতে হবে। সেইমত ঝাঁপ মারে কিশোর। আর তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় বছর উনিশের আরফাদ হুসেন। বাকি বন্ধুরা সঙ্গে সঙ্গেই আদি গঙ্গায় নেমে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলে না ওই কিশোরের। খবর যায় ওয়াটগঞ্জ থানায়। ডিএমজি গ্রুপের কর্মীরাও এসেও তল্লাশি চালায়। কিন্তু কাল দিনভর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি অস্তাগার লেনের বাসিন্দা ওই কিশোরের।
এরপরই এদিন উদ্ধার হল ওই কিশোরের দেহ। প্রায় ১৯ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর খিদিরপুর থেকে দাইঘাটের দিকে যে ক্যানেলটি গিয়েছে, সেখানে উদ্ধার হয় দেহটি। ক্যানেলের মাঝখানে মাটির মধ্যে পড়েছিল দেহটি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গায় ভাটা আসতেই ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে পারা যাবে। আর তারপরই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, এলাকায় আফতাব নামেই বেশি পরিচিত আরফাদ। আরফাদরা তিন ভাই। আরফাদ-ই সব থেকে ছোট। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল সে। এর আগেও বন্ধুদের সাথে সে দাইঘাট, চেনঘাট সহ বিভিন্ন জয়গায় বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়েছিল।
Shootout: বাঁশদ্রোণী শুটআউটে কে গুলি করে বাচ্চা সিংকে? সামনে এল নাম