বিজেপি ছাড়লেন লক্ষ্মণ শেঠ, কোন দলে যোগ দিতে চলেছেন তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ
লক্ষ্মণকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপির ২ গোষ্ঠীর লড়াইও প্রকাশ্যে চলে আসে। দিলীপগোষ্ঠী ও রাহুলগোষ্ঠীর বিবাদের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দেন নন্দীগ্রাম কাণ্ডের অন্যতম ভিলেন। এর জেরে যথেষ্ট বিড়ম্বনাতেও পড়তে হয় বিজেপিকে। দলে নিলেও লক্ষ্মণকে কোনও পদ দেয়নি বিজেপি। তমলুক লোকসভা নির্বাচনে তেমন দাগও কাটতে পারেনি লক্ষ্মণ ব্রিগেড।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় ১০০০ সমর্থককে নিয়ে বিজেপি ছাড়লেন লক্ষ্মণ শেঠ। রবিবার সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে বলেন, বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছি না। গুঞ্জন কংগ্রেসে যোগদান করতে চলেছেন তিনি।
সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পর ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন এক সময় পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর বিরুদ্ধে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। এর পর নিজের রাজনৈতিক দল ভারত নির্মাণ পার্টি বানান লক্ষ্মণবাবু। তবে সেই দল তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। ২০১৬ সালে তমলুক লোকসভা উপ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত শিকে ছেঁড়েনি।
লক্ষ্মণকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপির ২ গোষ্ঠীর লড়াইও প্রকাশ্যে চলে আসে। দিলীপগোষ্ঠী ও রাহুলগোষ্ঠীর বিবাদের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দেন নন্দীগ্রাম কাণ্ডের অন্যতম ভিলেন। এর জেরে যথেষ্ট বিড়ম্বনাতেও পড়তে হয় বিজেপিকে। দলে নিলেও লক্ষ্মণকে কোনও পদ দেয়নি বিজেপি। তমলুক লোকসভা নির্বাচনে তেমন দাগও কাটতে পারেনি লক্ষ্মণ ব্রিগেড। বিজেপির ভোট বাড়লেও তিন নম্বরেই শেষ করতে হয় তাদের। তার পর থেকে দলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না লক্ষ্মণের।
১৯-এ তৃণমূলকে ২০-তে বাঁধব, হুঙ্কার মুকুলের
এদিন বিজেপি ছেড়ে লক্ষ্মণ বলেন, 'নতুন পুরনোর লড়াইয়ে কাজ করতে পারছিলাম না। বিজেপি মানুষের কথা ভাবে না। রাম রহিমের লড়াই বাঁধাতে পারব না।' ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মণের দলবদল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে কোনও ছাপ ফেলতে পারে কি না সেটাই দেখার।