বিজেপির বিরুদ্ধে এবার বিধানসভায় হাত ধরল বাম - কংগ্রেস - তৃণমূল

প্রস্তাবকে সমর্থন জানান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। সমর্থন জানায় তৃণমূলও। সমর্থন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'কর্নাটকে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। এর তীব্র নিন্দা করছি।'

Updated By: Jul 10, 2019, 08:26 PM IST
বিজেপির বিরুদ্ধে এবার বিধানসভায় হাত ধরল বাম - কংগ্রেস - তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা এরাজ্যের বিরোধীরা। বুধবার কর্নাটকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় এক নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে কর্নাটকে সরকার ভাঙার অভিযোগ তুলে ওই নিন্দা প্রস্তাবকে সমর্থন করে বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল। 

দিন কয়েক ধরেই ফের জমে উঠেছে কর্নাটকের নাটক। বুধবার সেরাজ্যের বিরোধী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই যান কংগ্রেস নেতা শিবকুমার। কিন্তু তাঁকে হোটেলে ঢুকতে দেয়নি মুম্বই পুলিস। কংগ্রেসের দাবি, কর্নাটকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। এই এই মর্মে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব পেশ করেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। 

 

প্রস্তাবকে সমর্থন জানান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। সমর্থন জানায় তৃণমূলও। সমর্থন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'কর্নাটকে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। এর তীব্র নিন্দা করছি।'

বলে রাখি, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির রাজকীয় উত্থানের পর থেকেই এরাজ্যে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে তৃণমূল - বাম ও কংগ্রেস। এমনকী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,  বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে বাম ও কংগ্রেসের বোঝাপড়া করে চলা উচিত। পরে যদিও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করে সরকার। 

প্রশ্নফাঁস রুখতে মরিয়া সংসদ, উচ্চ মাধ্যমিকে এবার প্রশ্নপত্রেই লিখতে হবে উত্তর

বাম - কং - তৃণমূল সমঝোতার নতুন ছবি দেখা যায় গত সোমবার। জ্যোতি বসুর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই শিলিগুড়িতে একটি মিছিলে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা যায় সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, তৃণমূল নেতা গৌতম দেব ও কংগ্রেস নেতা শংকর মালাকারকে।   

.