Asansol: খুনে অভিযুক্তদের থানা থেকে 'ছাড়িয়েছেন' কাউন্সিলর, অভিযোগে স্থানীয়দের বিক্ষোভ
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আখতারি খাতুনের কথায় অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগেই সোমবার রাতে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাজার শরিফ হয়ে, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বাসিন্দারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খুনে অভিযুক্তদের কাউন্সিলর ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এই অভিযোগ, আসানসোল পুরনিগমের এক কাউন্সিলরে বাড়ি ঘেরাও করল স্থানীয়রা। বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কাউন্সিলর।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের রানীগঞ্জ থানার অন্তর্গত রনাই এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'দিন আগে জঙ্গলের মাঝে পরিত্যক্ত একটি জাগা থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পরে ওই যুবকের নাম ও পরিচয় জানা যায়। মৃত যুবক রনাইয়ের শহিদ নগরের বাসিন্দা ছিলেন। নাম ফিরোজ আনসারি, বয়স ২০। মৃত ওই যুবকের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলেকে কেউ খুন করেছে। সেই অভিযোগে পুলিস কয়েকজনকে আটক করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আখতারি খাতুনের কথায় অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগেই সোমবার রাতে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাজার শরিফ হয়ে, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বাসিন্দারা। ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়িও ঘেরাও করা হয়। পরে বিশাল পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর আখতারি খাতুন। তিনি জানান, নিজের ব্যক্তিগত কাজে থানায় গিয়েছিলেন। কাউকে ছাড়ানোর জন্য তিনি পুলিসকে বলেননি। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেন কাউন্সিলর। মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ।