''এখানকার এক গদ্দার লোকসভার টিকিট চেয়েছিল, দিইনি!'' অর্জুন-গড়ে দাঁড়িয়েই তোপ মমতার
তাঁর আরও কটাক্ষ, ''গুণ্ডা গদ্দারি করে কোনও ফয়সালা হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ''এখানকার একজন গদ্দার লোকসভার টিকিট চেয়েছিল। কেন দেব! টিকিট দিইনি।'' অর্জুনের গড়ে দাঁড়িয়ে বললেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার ভাটপাড়ায় জোড়া সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''দলে দু-একজন গদ্দার থাকে। এখানেও একজন গদ্দার ছিল। সে ভেবেছিল লোকসভার টিকিট চেয়েছিল। আমি দিইনি। কেন দেব? খালি গুণ্ডাগিরি করবে, কোনও উন্নয়নের কাজই করবে না।''
নির্বাচনী সভায় মোদীকে তোপ দাগতে ছাড়েননি তিনি। মমতা বলেন, ''কোনো দাঙ্গা বাজকে ছাড়বো না। অনেক গুণ্ডামির কথা শুনেছি। নির্বাচনটা কাল হয়ে যাবে। তারপর দেখবো। অনেক সহ্য করেছি। আর বরদাস্ত করবো না।''
তাঁর আরও কটাক্ষ, ''গুণ্ডা গদ্দারি করে কোনও ফয়সালা হবে না।
নির্বাচন এলেই রামের কথা মনে পড়ে। ৫বছরে একটা ছোট রামের মন্দির তৈরি করেননি। এবার থেকে এই জায়গাগুলো আমি নিজে দেখব।''
কিছুক্ষণের মধ্যে তৃণমূলের যোগ দিতে চলেছেন সিপিএমের এই প্রাক্তন সাংসদ
মোদীকে তাঁর কটাক্ষ, ''মোদী আজ পর্যন্ত বলেননি ৫বছরে কী কাজ করেছেন। কী করেছেন সারাদেশের জন্য? বলছেন, ৪০জন এমএলএ যোগাযোগ রাখছেন। লোকসভা নির্বাচন করতে এসে হর্স ট্রেডিং করছেন।
একটা নাম বলুন তো!'' বিজেপি আরএসএসকে কটাক্ষ, ''ওরা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে নেমেছে। আরএসএস কলকাতায় কয়েকজনকে পাঠিয়েছে। তারা হোটেলে বসে আছে।''
এখানে বক্তব্যের শেষে মমতা বলেন, ''লোকসভার পর ভাটপাড়া বিধানসভার ভোট হবে। বাপ-বেটা দু’জনেরই জামানত জব্দ করে দিন। গুন্ডা-গার্দি করে কিছুই হবে না। এখান থেকে মনে রাখবেন সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল। সেটাই ছিল দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম। এখান থেকেই বিজেপিকে হারানোর শপথ নিন।''
প্রসঙ্গত, অর্জুন সিংহর দলত্যাগের জেরে ভাটপাড়া আসনে উপনির্বাচন। লোকসভার ভোট শেষ হলেই সেই নির্বাচন। তৃণমূল প্রার্থী করেছে মদন মিত্রকে। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অর্জুন সিংহর ছেলে পবনকুমার সিংহ।