'টাকা নিয়ে কী করব, স্বামীকে ফিরিয়ে দিন', মগরাহাটকাণ্ডে নিহত স্ত্রীয়ের আকুতি
এদিন নিহতের স্ত্রী বললেন, 'আড়াই লাখ টাকা নিয়ে আমি কি করব? আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: মগরাহাটে (Magrahat Twin Murder) সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী এবং তাঁর বন্ধু বস্ত্র ব্যবসায়ী মলয় মাকালকে খুনের ঘটনার আঁচ এখনও নেভেনি। নিহত সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে যান জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও মগরাহাট পূর্বের বিধায়ক নমিতা সাহা। জোড়া খুনের ২৪ ঘণ্টা পরেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায়, তাঁদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা।
নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দেন। এদিন নিহতের স্ত্রী বললেন, 'আড়াই লাখ টাকা নিয়ে আমি কি করব? আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন।' মলয় মাকাল ও বরুণ চক্রবর্তীর পরিবারের সদস্যদের হাতে আড়াই লাখ টাকা করে দুটি চেক তুলে দিলেন সাংসদ প্রতিমা মন্ডল।
পাশাপাশি, সিভিক পুলিসে কর্মরত অবস্থায় বরুণ মারা যাওয়ায় তার পরিবারের যে কোনও একজন সদস্যকে যাতে চাকরি দেওয়া হয়, সে জন্য নবান্নে সরকারিভাবে চিঠি দেবেন ডায়মণ্ডহারবারের মহকুমা শাসক।
প্রসঙ্গত, মগরাহাটে সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী ও তাঁর বন্ধু বস্ত্র ব্যবসায়ী মলয় মাকালকে প্রথমে মাথার পিছনে গুলি করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় দু’ জনকেই। এমনটাই দাবি পুলিসের। জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা। তার স্ত্রী-সহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিস।
তার আগে আজ সকালে পথ অবরোধের চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। পুলিস বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। লাঠি উঁচিয়ে জমায়েত হঠায় পুলিস। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যদিও পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না পারলে পথে নেমে প্রতিবাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিহতদের পরিবার। এখনও থমথমে মগরাহাটের আমড়াতলা গ্রাম। অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিস।
আরও পড়ুন, Howrah: রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর হাওড়া হাসপাতালে, আহত ২ চিকিত্সক