Maldah: ফেসবুকে আলাপ থেকে সহবাস, বিয়ের দাবিতে যে কাণ্ড ঘটালেন প্রেমিকা!
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করলেও এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত প্রেমিক উৎপল সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ত্রীর মর্যাদা দাবি জানিয়ে শিক্ষক প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসল সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রেমিকা। সোমবার সকাল থেকে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার গাজোল থানার হরিদাস গ্রামে। ধরনার বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামে পৌঁছয় গাজোল থানার পুলিস। অবশেষে ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারকে পুলিস থানায় নিয়ে যায়।
প্রেমিকা সিভিক ভলেন্টিয়ার জানিয়েছেন, তিনি গাজোল থানায় সিভিকের পেশায় কর্মরত। গত ২ বছর আগে গাজোলের বাসিন্দা হাইস্কুল শিক্ষক উৎপল সরকারের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় হয়। এরপরে বন্ধুত্ব। আর তারপরই প্রেমের সম্পর্ক দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করলেও এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত প্রেমিক উৎপল সরকার। ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও এখন এড়িয়ে যাচ্ছেন তাঁকে। বিয়ের কথা বলতেই ওই শিক্ষক তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে। অবশেষে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বামনগোলা ব্লকের দহিল হাইস্কুলের শিক্ষক প্রেমিক উৎপল সরকার।
আরও পড়ুন, 'দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক, যা বলেছেন দল ছাড়ার দুঃখ-রাগ থেকে বলেছেন'
এরপরই আজ স্ত্রীর মর্যাদার দাবি জানিয়ে সকাল থেকে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধরনায় বসেন ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার। বিষয়টি জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায় । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই শিক্ষকের পরিবার এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গাজোল থানার পুলিস। প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে আসে। যদিও তাতে অসন্তুষ্ট প্রেমিকার পরিবার। ইতিমধ্যেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। গাজোল থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।