Suvendu at Raipur: 'জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা মমতা জানতেন না; আমি দেখিয়েছি, তার সুফল পেয়েছেন উনি': শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গরিব মানুষ খুঁজছে মাথার উপরে ছাদ। আর কলকাতায় তৃণমূলের নেতা কিনছে টাকা রাখার ফ্ল্য়াট। দরজা খুললেই অপা-পার্থর ৫০ কোটি। কেষ্টর দেড়শো কেটি, মানিকের মানিকের ৩০ কোটি। এদের তাড়াতেই হবে
জি ২৪ ঘণ্ট ডিজিটাল ব্যুরো: জঙ্গলমহলে আমার জন্যই ঢুকতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তখন কোথায় ছিলেন অভিষেক? মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রাইপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী-সহ কলকাতায় বসে তৃণমূল নেতাদের রাজ্য চালানোর বিরুদ্ধে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখানেই থেমে থাকেননি বিরোধী দলনেতা। অন্য়ান্য সভার মতো নিয়ম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাকেও নিশানা করেন তিনি। জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা আমি মমতাকে দেখিয়েছি বলে রাইপুরের সভায় থেকে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানত না। ২০১০ সালের ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে আমাকে মমতা বলেছিলেন, ৯ আগস্ট লালগড়ে একটা সভা করতে চাই। তুই পারবি করতে? করে দেখিয়েছিলাম। যৌথবাহিনী, হার্মাদ বাহিনীর, সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। তার সুফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন। তখন তাঁর গুণধর ভাইপো তখন ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গে। তিনি ছিলেন দিল্লিতে। একুশ সালে তোমাকে হরিয়েছি। আগামিদিনে একটি রাষ্ট্রবাদী সরকার রাজ্যে গঠন করার শপথ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন-ঘরের টাকা দিচ্ছে না, শিলদায় মমতার গাড়ি থামতেই ক্ষোভ আদিবাসীদের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুর চোখের অপারেশন হয় সেনা হাসপাতালে। আর পিসির ভাইপো, তিনি যান আমেরিকার সবচেয়ে বড় দামী হাসপাতালে। সেখানে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি চিকিত্সা করান। এরা গরিবের প্রতিনিধি? বাংলার মা-বোনেদের ৫০০ টাকা দিয়ে, আদিবাসী মূলবাসী মানুষের দিকে চাল ছুড়ে দিয়ে দক্ষিণ কলকাতার কিছু লোক রাঢ়বঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, লালমাটিকে শাসন করবে? এটা মানবেন? জঙ্গলকে, গ্রামকে জাগাতে হবে। ওদিকে মতুয়া, উত্তরবঙ্গের রাজবংশী, পাহাড়, মেদিনীপুরের বালুমাটি সবাই মিলে মিশে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের শোষকের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে হবে। বাংলাকে বাঁচানেরা শপথই হবে বিরসা মুন্ডার প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধা।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের সবা শেষে ফেরার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী মানুষজনের সঙ্গেকথা বলেন। সেখানেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘর না পাওয়া, জল না পাওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেই কথা টেনে শুভেন্দু বলেন, মমতা বলে আসছেন, জঙ্গলমহলে সব কাজ করে দিয়েছি। আর বেলপাহাড়ির একটি গ্রামের সাধারণ সরল সাধারণ মানুষ বলছেন ঘর নেই, বাথরুম নেই, একশো দিনের কাজ নেই, পরিস্রুত পানীয় জল নেই, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার বই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্র দিচ্ছে না তাই ওইসব দিতে পারছি না। কেন্দ্র যদি সব দেবে তাহলে তোমার ভাইরা বলছিল কেন জন্মালেই শিশুসাথী, মারা গেলই সমব্যাথী। স্টিকার পিসির স্টিকার উঠে গিয়েছে। তাই জঙ্গলমহলের মানুষও এখন পিসির সঙ্গে নেই।
গত কয়েক মাস ধরে একাধিক দুর্নীতি মামলায় নাজেহাল রাজ্যের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা। তার প্রভাব পড়ছে সরকারের উপরে। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গরিব মানুষ খুঁজছে মাথার উপরে ছাদ। আর কলকাতায় তৃণমূলের নেতা কিনছে টাকা রাখার ফ্ল্য়াট। দরজা খুললেই অপা-পার্থর ৫০ কোটি। কেষ্টর দেড়শো কেটি, মানিকের মানিকের ৩০ কোটি। এদের তাড়াতেই হবে। আমি যেমন নন্দীগ্রামে কম্পারমেন্টাল বানিয়ে দিয়েছি। তাই ভীষণ রাগ। ভীষণ জ্বালা। কার্ড পাঠাচ্ছে, ফুল পাঠাচ্ছে। বাংলার যুবক, যুবতীরা দিদিকে পোস্টকার্ড পাঠান। বাংলাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। জঙ্গলমহলের মানুষ বঞ্চিত। জব কার্ডের ফলে ফলে নেতাদের উন্নতি হয়েছে। আদিবাসী-মূলবাসীদের কোনও উন্নতি হয়নি। গোটা রাজ্যের মতো গোটা রাজ্যের মানুষ নিপীড়িত। তাই গ্রামের মানুষকে অধিকার বুঝে নিতে হবে।