পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে 'কথা বলতে রাজি' মমতা
ওয়েব ডেস্ক: পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে মোর্চার সামনে আলোচনার রাস্তা খুলে দিল রাজ্য। GNLF -এর চিঠিতে সাড়া দিয়ে ২৯ অগাস্ট নবান্নে বৈঠকের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আহ্বান জানানো হয়েছে পাহাড়ের সবকটি বড় দলকে। আর GNLF-এর এই চালে বেজায় বেকায়দায় মোর্চা। সংকটে পাহাড়ের আন্দোলন কমিটির অস্তিত্বও।
৬৭দিন টানা বনধ। অচল পাহাড়। চরম দুর্ভোগে মানুষ। পরিস্থিতি থেকে বেরোতে আলোচনাই রাস্তা। বুঝছে পাহাড়ের সব দলই। কিন্তু, বেড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধবে কে? এক ধাপ এগোলো GNLF। পাহাড়ের শান্তি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল মোহন ঘিসিংয়ের দল। সাড়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর, মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তাতেই প্যাঁচে গুরুং ব্রিগেড। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে শনিবারই শিলিগুড়িতে বার্তা দেন GNLF নেতা NB ছেত্রী। কিন্তু, মোর্চা বা পাহাড়ের অন্য কোনও দল ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি,এক ধাপ এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করে চিঠি দিয়ে বসবে GNLF।
সেই চিঠিতে ফোকাসে আনা হয়েছে পাহাড়বাসীর দুর্দর্শা। মোর্চার নাম না করে GNLF সভাপতির চিঠিতে কার্যত বিষেদগার করা হয়েছে গুরুংদের বনধ রাজনীতির বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির অস্তিত্বকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ঘিসিংয়ের দল। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই আহ্বানেই বেজায় বেকায়দায় মোর্চা।২৯ অগাস্ট নবান্নের বৈঠকে যোগ দেওয়া কতটা ঠিক হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় দল।
সমস্যাটা অন্য জায়গায়। পাহাড় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ডাক মোর্চার কাছে শাঁখের করাত। সাড়া দিলে অ্যাডভানটেজ GNLF ও প্রশাসন। পাহাড়ের মানুষের কাছে বার্তা যাবে, রাজ্যের চাপে মাথা নোয়ালো গুরুং ব্রিগেড। জমি ছাড়ল GNLF-কেও। আর অন্যদিকে, আলোচনার ডাকে সাড়া না দিলেও বার্তা যাবে পাহাড়ে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চায় বিমল গুরুংয়ের দল।