Mamata Banerjee In Taki: সুন্দরবনের দুয়ারে মমতা, উঠোনে বসে খেলেন ট্যাংরার ঝাল-ভাত
অমিত শাহ থেকে জে পি নাড্ডা, বিজেপির অধিকাংশ নেতার ক্ষেত্রেই এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কার বাড়িতে খাবেন, মেনু কী হবে, সবকিছুই আগে থেকে ঠিক করা থাকে। কিন্তু টাকি সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারে তাঁর নিজস্ব স্টাইলে ঢুকে পড়লেন এক গৃহস্থ বাড়িতে
সুতপা সেন: এমন দৃশ্য অত্যন্ত বিরল। জেলা সফরে গিয়ে দার্জিলিং-সহ বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চা খেতে দেখা গেলেও কারও বাড়ি ঢুকে ভাত খেয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে এমনটা দেখা যায়নি। কারণ বহুদিন ধরেই তিনি দুপুর খান না। কিন্তু বুধবার এমনটাই দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টাকিতে। একেবারে গৃহস্থ বাড়ির উঠোনে বসে খেলেন দুপুরের খাবার। এককথায় বহুদিন পর মেঠো মমতাকে ফের দেখল রাজ্যবাসী।
আরও পড়ুন-তিতের মাথায় হাত! ব্রাজিল যেন মিনি হাসপাতাল, ফের চোট আরেক ফুটবলারের
বিজেপি নেতারা রাজ্যে এলে দেখা গিয়েছে তারা দলিত বাড়িতে দুপুরে খাবার খাচ্ছেন। অমিত শাহ থেকে জে পি নাড্ডা, বিজেপির অধিকাংশ নেতার ক্ষেত্রেই এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এ সপ্তাহেই মিঠুন খেয়েছেন এক ব্য়ক্তির বাড়িতে। এসবই পূর্বপরিকল্পিত। কার বাড়িতে খাবেন, মেনু সবকিছুই আগে থেকে ঠিক করা থাকে। কিন্তু টাকি সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারে তাঁর নিজস্ব স্টাইলে ঢুকে পড়লেন এক গৃহস্থ বাড়িতে।
এদিন টাকি থেকে জলপথে হাসনাবাদের খাঁপুকুর ব্লকের একটি গ্রামে এসে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে এসে একটি স্কুলে ঢুকে পড়েন তিনি। ক্লাসে গিয়ে পড়ুয়াদের নাম জানতে চান, পড়াশোনা কেমন চলছে তা জেনে নেন। এককথায় মিশে যান পড়ুয়াদের সঙ্গে। এরপরই স্কুল থেকে বেরিয়ে গ্রামের ভেতরে ঢোকেন। গ্রামবাসীদের শীতবস্ত্র বিলি করেন। সেখান থেকে নমিতা মণ্ডল নামে এক মহিলার বাড়িতে তিনি ঢুকে পড়েন। সেখানে নমিতা মুখ্যমন্ত্রীকে দুপুরের খাবার খেতে অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ ফেলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কথা শুনেই উঠোনে বসে পড়েন তিনি। স্টিলের থালায় ট্যাংরা মাছের তরকারি দিয়ে তৃপ্তি সহকারে ভাত খান মমতা। খাওয়া শেষ জানান, খুব ভালো রান্না হয়েছে।
সাধারণত, দুপুরে খান না মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু আজ গ্রামের এক দরিদ্র মানুষের অনুরোধ ফেলতে পারেননি। গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন শুনে অনেকেই নমিতা মণ্ডলের বাড়িতে ভিড় করেন। অনেকে অবাক হয়ে যান। তবে আশ্চর্য হয়ে যান মমতা নমিতার বাড়িতে খেয়েছেন শুনে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে গ্রামবাসীর তাদের পানীয় জলের সমস্যার কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রী তাদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।