প্রকাশ্যে দিদি, গোপনে 'দাদা' শুভেন্দুর অনুগামী মুর্শিদাবাদের একাধিক বিধায়ক!

যদিও জানুয়ারি মাসের আগে এরা কেউই স্ট্র্যাটেজিকালি সামনে আসতে চাইছেন না বলেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের অভিমত।

Updated By: Nov 30, 2020, 12:49 PM IST
প্রকাশ্যে দিদি, গোপনে 'দাদা' শুভেন্দুর অনুগামী মুর্শিদাবাদের একাধিক বিধায়ক!
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদ জেলায় পর্যবেক্ষক হওয়ার পর জেলা পরিষদ, পুরসভা, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং একাধিক বিধায়ককে তৃণমূল কংগ্রেসে নিয়ে এসেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সেই একাংশ নেতা-কর্মীরা এখনও শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যেই রয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে পর্যবেক্ষকের জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরও প্রকাশ্যে বা গোপনে তার খামতি হয়নি। জেলার রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে এমনটাই জানা যাচ্ছে। 

শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদে পর্যবেক্ষক হয়ে আসার পর সব থেকে বড় সাফল্য হল মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদকে ছিনিয়ে নেওয়া। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসার পর মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের চেয়ারে বসেন বৈদ্যনাথ দাস। তিনি এই মুহূর্তে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি পদে আসীন। গত ৮ নভেম্বর খড়গ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভামঞ্চে তিনি ছিলেন শুভেন্দুর পাশেই। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর সাংবাদিকদের সামনেও প্রকাশ্যে তিনি জানান, এতে দলের ক্ষতি হবে। আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই রয়েছেন। 

মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি যিনি মধু হিসেবে মুর্শিদাবাদে বিশেষ পরিচিত, খড়গ্রামে শুভেন্দুর সভায় তিনি ছিলেন মুখ্য উদ্যোক্তা। তিনিও যে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। যদিও তিনি প্রকাশ্যে শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে আসতে অপারগ। ভয় রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। নিন্দুকরা বলছেন, "মধু প্রকাশ্যে  দিদি, গোপনে দাদার অনুগামী।" এদের পথ ধরেই জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধক্ষ্য মইদুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য আনারুল হক সহ একাধিক সদস্য ও সদস্যা শুভেন্দু অনুগামী বলে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত। 

মুর্শিদাবাদ জেলায় কান্দি ও জঙ্গিপুর মহকুমার সদ্য প্রাক্তন দুই মহকুমা সভাপতি গৌতম রায় ও বিকাশ নন্দ ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে গোপনে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড জারি রেখেছেন বলে তৃণমূল সূত্র মারফত খবর। তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে দলীয় নেতৃত্বের ওপর। একইভাবে জেলার বেলডাঙা ও ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বর্তমান পুরপ্রধান গোপনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলেও জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া একাধিক বিধায়ক গোপনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে নাম উঠে আসছে। যার মধ্যে রয়েছে নবগ্রাম, জলঙ্গি, হরিহরপাড়া, মুর্শিদাবাদ রেজিনগরের মত বিধানসভার নাম। যদিও জানুয়ারি মাসের আগে এরা কেউই স্ট্র্যাটেজিকালি সামনে আসতে চাইছেন না বলেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের অভিমত।

আরও পড়ুন, বন্দি মুক্তির দাবিতে পড়ল মাওবাদী পোস্টার, জোর চাঞ্চল্য জঙ্গলমহলে

.