কন্টেইনমেন্ট জোন এবার মেদিনীপুরের বাসডিপো, বন্ধ হয়ে গেল বাস চলাচল
৩৭ জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে । তাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট যতদিন না আসছে ততদিন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন দফতর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এতদিন মানুষের বসবাসের জায়গাকে কন্টেইনমেন্ট জোন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে । এই প্রথম কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় এল বাসডিপো । দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার মেদিনীপুরের বাসডিপোকে কন্টেইনমেন্ট জোন বলে ঘোষনা করা হয় । সেইসঙ্গে প্রশাসনের তরফ থেকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে এই বাসডিপোর গেট।
কয়েকদিন আগে মেদিনীপুর দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার এক কর্মীর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। গত বুধবার তাঁর করোনা পরীক্ষা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর বৃহস্পতিবার পরিবহন দফতর বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় । সেইমতো শুক্রবার সকাল থেকেই আপাতত বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । বুধবার রিপোর্ট আসলেও পরেরদিন বাস চলাচল বন্ধ করা হয়নি মানুষের হয়রানির কথা ভেবে । মেদিনীপুর ডিপোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন এই ডিপো থেকে বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য বাস ছাড়ে । বিনা নোটিশে বন্ধ করে দিলে সাধারণ মানুষের হয়রানি হত । তাই তাঁরা ২৪ ঘন্টা সময় নিয়ে নোটিশ দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করেছে ।
এদিকে মেদিনীপুর বাসডিপোতে ওই করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে যারা এসেছেন এবং একসঙ্গে ডিউটি করেছেন এইরকম ৩৭ জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে । তাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট যতদিন না আসছে ততদিন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন দফতর । রিপোর্ট কী আসে সেটা দেখার পর বাস চলানোর ক্ষেত্রে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ ।
প্রতিদিন মেদিনীপুরের এই ডিপো থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৫৫টি বাস চলাচল করে । ডিপোতে সব বাস সারিবদ্ধভাবে দাড় করানো আছে । এই ডিপোতে বহু কর্মী আছেন যারা ভিন জেলায় বা অনেক দূরে থাকেন । এই লকডাউনে তাঁরা বাড়ি যেতে পারোননি । এই অবস্থায় মেদিনীপুর ডিপোর মধ্যেই ২২ জন পরিবহণ শ্রমিকের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে পরিবহন দফতর ।এদিকে বাসডিপোটিকে কনটেইমেন্ট জোন করে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে । তাই ডিপোতে যেসব পরিবহনের কর্মীরা আছেন তাঁদের থাকতে হচ্ছে সরকারি নির্দেশিকা মেনে ।
আরও পড়ুন, সহবাসের পর বিয়েতে আপত্তি যুবকের, প্রতিবাদ করতেই প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ!