ভোটের প্রচারে 'উস্কানিমূলক মন্তব্য'! মিঠুনকে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ
সকাল ১০টার সময় ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদের সময় দেওয়া হয়েছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন : মানিকতলার থানায় পুলিশের জিজ্ঞেসাবাদের মুখে মিঠুন চক্রবর্তী। সকাল ১০টার সময় ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদের সময় দেওয়া হয়েছিল। ১০.২০ নাগাদ পুণে থেকে ভার্চুয়ালি মানিকতলা থানার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বিরূদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন জনসভায় নিজের ছবির সংলাপ বলে উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন মিঠুন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে 'মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে', 'এক ছোবলেই ছবি', 'জাত গোখরো'-র মতে সংলাপ বলতে শোনা গিয়েছিল মিঠুনকে। ওই সংলাপগুলোর কারণেই এই বিপত্তি।
মিঠুনের বিরূদ্ধে মানিকতলা থানায় FIR দায়ের করা হয়েছিল। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জনসভাতে গিয়ে তিনি একই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন এমন অভিযোগ তুলে মৃত্যুঞ্জয় পাল নামে এক তৃণমূল কর্মী মানিকতলা থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩A, ৫০৪, ৫০৬ এবং ৩৪ আইপিসিতে মামলা রুজু করে পুলিস।
আরও পড়ুন, ISF, Congress রেখেই বাম শরিকদের ঐক্যে জোর আলিমুদ্দিনের
১১ জুন কলকাতা হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয়, তদন্তের প্রয়োজনে পুলিস মিঠুন চক্রবর্তীকে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সেই নির্দেশের পর দিন দুয়েক আগে মহাগুরুকে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে মানিকতলা থানার পুলিস। বুধবার সকাল ১০ টায় হাজির হতে বলা হয় তাঁকে।
তাঁর বিরূদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য, ষড়যন্ত্রে মদত দেওয়া এই ধরণের নানা অভিযোগ দেওয়া হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই জিজ্ঞাসাবাদ। প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আগে মোদীর জনসভায় ব্রিগেডে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর থেকে প্রচারে বিভিন্ন জনসভায় দেখা গিয়েছে তাঁকে।
পুলিস সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১২-১৫টি প্রশ্নের প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়। মানিকতলা থানা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার তথা থানার অতিরিক্ত ওসি এবং এক ইনস্পেক্টর। তবে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সহযোগিতা করেছেন কিনা, সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি পুলিস।