দিল্লির বন্ধুকে দেখে চ্যালেঞ্জ, নদিয়ায় ১০ কাঠা জমিতে আপেল গাছ ফলালেন প্রসেনজিত্
প্রসেনজিতের কথায়, আমেরিকা ও ইসরাইলের তিন জাতের আপেল রয়েছে তাঁর বাগানে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরুটা ছিল অনেকটা রূপকথার গল্পের মতই! দিল্লি ঘুরতে গিয়ে বন্ধুর বাড়ির টবে দেখেছিলেন আপেল গাছ। তারপর নদিয়ার হাঁসখালির কৌতুকগ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিত্ বিশ্বাসের ইচ্ছা হয় তিনি আপেল গাছ ফলাবেন। তাও আবার বাংলার মাটিতেই।
কৌতুক গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিত্ প্রথমে কৌতুক করছেন বলেই মনে করেন অনেকে! বাংলার মাটি, তা কী আদৌ আপেল গাছ ফলানোর! যাই হোক করে দেখিয়েছেন প্রসেনজিত্। ১০ কাঠা জমিতে আপেল ফলানোর কথা ভাবেন। মোট ৪০ টি চারা লাগিয়েছিলেন তিনি।
এক একটি চারা চারার দাম তিন হাজার টাকা। গাছগুলিকে পরিচর্চার জন্য গোবর সার অনুখাদ্য জীবানুনাশক স্প্রে করে যত্ন করে তারপর ফলিয়েছেন আপেল। তিন বছর পর এই আপেলের ফল সংগ্রহ করতে হয় তার আগে ফুল আসলে সেগুলিকে ভেঙে দিতে হয় কিন্তু প্রথম বছরেই তার গাছে ফুল আসে এবং লোককে দেখানোর জন্য তিনি সেই ফুল নষ্ট না করে তাতে আপেল ফলিয়েছেন। তার প্রত্যেকটি কাছেই এখন আপেল ধরে রয়েছে।
প্রসেনজিতের কথায়, আমেরিকা ও ইসরাইলের তিন জাতের আপেল রয়েছে তাঁর বাগানে। এই গাছগুলি প্রায় ৬৫ডিগ্রি উষ্ণতা সহ্য করতে সক্ষম। আমফানে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বটে, তাঁর চেষ্টা বিফলে যাবে না বলে আশাবাদী প্রসেনজিত্।
আরও পড়ুন: মিডডে মিলের সঙ্গে দেওয়া হবে সাবান ও মাস্ক, ঘোষণা পার্থর
হারিয়েছেন সেখানে কারো যদি জমি থাকে সেক্ষেত্রে তার এই আপেল চাষ কিছুটা হলেও আশার আলো যোগাবে। এক্ষেত্রে কৃষিবিজ্ঞানী ডক্টর অনিস দাস জানান, এরাজ্যে ইসরাইলের একটি প্রজাতির আপেল গাছ রয়েছে, তার রঙও বেশ ভালো। এ রাজ্যের কোথাও কোথাও আপেল চাষ হচ্ছে।