Namkhana Gang Rape: 'গণধর্ষণের পর গায়ে-গোপনাঙ্গে কেরোসিন! মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা', ভয়ঙ্কর অভিযোগ
৫ জন মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ ((Namkhana Gang Rape) করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জনকে চিনতে পারেন মহিলা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গণধর্ষণের পর কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা! এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ। অভিযোগ, নামখানায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় (Namkhana Gang Rape)। ৫ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটে ওই মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিস। অন্যদিকে, নির্যাতিতা ওই মহিলা বর্তমানে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন বছর চল্লিশের ওই মহিলা। ভোর ৪টে নাগাদ তিনি শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হন। অভিযোগ, সেই সময় ৫ জন যুবক এসে মহিলার মুখ চেপে ধরে। তারপর মহিলাকে বাড়ির দোতলায় তুলে নিয়ে যায়। বেঁধে ফেলে মহিলাকে। এরপর ওই ৫ জন মিলে মহিলাকে গণধর্ষণ ((Namkhana Gang Rape) করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জনকে চিনতে পারেন মহিলা। এরপরই গণধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিযুক্তরা বাড়িতে থাকা কেরোসিন নিয়ে মহিলার গায়ে ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, এমনকি মহিলার গোপনাঙ্গেও কেরোসিন ঢেলে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
মহিলা বাঁচার জন্য চিৎকার করে উঠলে, প্রতিবেশী আত্মীয় শুনতে পান। তৎক্ষনাৎ বেরিয়ে আসেন তিনি। বেগতিক বুঝেই তখন ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। প্রথমে লজ্জায় ও ভয়ে পুরো বিষয়টি চেপে যান নির্যাতিতা মহিলা। পরে শনিবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। তখনই পুরো ঘটনা খুলে বলেন তিনি। এরপরই তাঁকে নামখানা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার কারণে তাঁকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
মহিলাকে গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নামখানার দ্বিতীয় ঘেরি এলাকায়। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাতিবুনিয়া দ্বিতীয় ঘেরির বাসিন্দারা। এই ঘটনায় নামখানা থানার পুলিস ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ধর্ষণের একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নামখানা থানার পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।