Durga Puja 2022: স্বীকৃতির পুজোতেও অন্ধকারে ভূতের মতো নেতাজির দুর্গাচরণ
Kumartuli 2022 : কলকাতার বারোয়ারি পুজোর প্রথম ফাইন্যান্সার কে জানেন? এমন কি তার নামে কুমারটুলি (Kumartuli) স্ট্রিটের নামকরণও হয়েছে! দুঃখের বিষয়, বাঙালির মনে এখন আর তিনি নেই। তাই বরং সেই ইতিহাসের পাতাগুলি ঝালিয়ে নেওয়া যাক। তখন ব্রিটিশ আমল। একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভার দুই শীর্ষ পদ আলো করে আছেন দুই কৃতী বাঙালি। একজন তৎকালীন মেয়র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আরেকজন, তাঁরই সমসাময়িক, পুর কমিশনার দুর্গাচরণ ব্যানার্জি। কলকাতার বারোয়ারি পুজোর প্রথম পৃষ্ঠপোষক। অথচ, ইউনেসকো হেরিটেজ দুর্গাপুজোয় আজও অনেকটা অবহেলিত দূর্গাচরণ এবং তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুজোর এই চারটে দিন কলকাতার নর্থ টু সাউথ তাবড় তাবড় সব চোখ ধাঁধানো পুজো। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন, স্পনসর ছাড়া এই পুজোগুলি হবে কী করে? আগেকার দিনেও বড় পুজোগুলিও বা অনুদান পেত কেমন ভাবে? জানা যায়, আজকের দিনে যেমন করপোরেট স্পনসর, অতীতে তেমনই ধনী পৃষ্ঠপোষকরা ছিলেন। তবে কলকাতার বারোয়ারি পুজোর প্রথম ফাইন্যান্সার কে জানেন? এমন কি তার নামে কুমারটুলি (Kumartuli) স্ট্রিটের নামকরণও হয়েছে! দুঃখের বিষয়, বাঙালির মনে এখন আর তিনি নেই। তাই বরং সেই ইতিহাসের পাতাগুলি ঝালিয়ে নেওয়া যাক।
তখন ব্রিটিশ আমল। একইসঙ্গে কলকাতা পুরসভার দুই শীর্ষ পদ আলো করে আছেন দুই কৃতী বাঙালি। একজন তৎকালীন মেয়র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আরেকজন, তাঁরই সমসাময়িক, পুর কমিশনার দুর্গাচরণ ব্যানার্জি। কলকাতার বারোয়ারি পুজোর প্রথম পৃষ্ঠপোষক। অথচ, ইউনেসকো হেরিটেজ দুর্গাপুজোয় আজও অনেকটা অবহেলিত দূর্গাচরণ এবং তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন। এবার ফিরে যান ১৯৩০ সালে। শ্যামবাজার লেবু বাগানের মাঠ ছেড়ে নেতাজির মধ্যস্থতায় বাগবাজারের মাঠে উঠে এল বাগবাজার সর্বজনীন। তাঁরই পরামর্শে কুমারটুলি স্ট্রিটের বাসিন্দা, সুতানুটির জমিদার বাড়ির ছেলে দুর্গাচরণকে প্রেসিডেন্ট করল বাগবাজার। কারণ জাঁকজমকপূর্ণ পুজো করতে গেলে প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। তবে গোল বাঁধে পরের বছর। ১৯৩১ সালে নতুন করে সর্বজনীন পুজো শুরু করে দুর্গাচরণের পাড়া, কুমারটুলি। এবার টানাটানি শুরু হয়ে যায় দুর্গাচরণের চরণ ধরে। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের পাড়াকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। আমৃত্যু ছিলেন কুমারটুলি সর্বজনীনের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন : Durga Pujo 2022 : কুমোরটুলিতে দুর্গার পাশেই চারদিন পুজো পান রামকৃষ্ণ
শহর কলকাতার যে যে বাড়িগুলি আজও বহু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে তিলোত্তমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, দুর্গাচরণ ব্যানার্জির বাড়ি অন্যতম। ১৯২৫ সালে তৎকালীন মার্টিন বার্ন কোম্পানির তৈরি এই বাড়ি। বড়লাটের বাড়ির অর্কেস্ট্রাল প্যাটার্নে এটি বানানো হয়। সিঁড়ির রেলিং ছিল ব্রোঞ্জের, সিঁড়ির ল্যান্ডিং-এ থাকত আলো, উঠোনে চলত ফোয়ারার খেলা। এমনকী বাড়িতে ঘোড়ার আস্তাবলও ছিল। কিন্তু আজ এলাকায় ভুতুড়ে বাড়ি বলেই পরিচিত এককালের এই প্রাসাদ। খসে পড়ছে পলেস্তারা। প্রাচীন স্তম্ভগুলিতে কান পাতলে, তারা মনে করিয়ে দেয়, এই বাড়িতেই জড়িয়ে রয়েছে নেতাজি থেকে গান্ধীজি, সবার স্মৃতি।