৪ জঙ্গির অ্যাকাউন্টে মিলল মোটা টাকা! গ্রেফতারির আগে কাকে ফোন করে আবু সুফিয়ান?
মাস দুয়েকের মধ্যেই এই টাকার লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এমন আন্দাজ করতে পেরেছিল ধৃত আল কায়দা জঙ্গি আবু সুফিয়ান। আর তাই পরশু রাতে গ্রেফতারির আগে বেশ কিছু ফোন কল করে সে। কাকে কাকে সেই ফোনগুলো করেছিল আবু সুফিয়ান? তদন্তে নেমে সেকথা ভাবাচ্ছে NIA আধিকারিকদের। গ্রেফতারির আগে ধৃত জঙ্গির ফোন থেকে করা কলগুলো ট্রেস করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
শুধু তাই নয়, NIA সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার আগে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল আবু সুফিয়ান। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। NIA প্রতিনিধি দলের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। শনিবার ভোর রাতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও কেরলে তল্লাশি চালিয়ে মোট ৯ জন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে NIA দল। তদন্তে উঠে আসে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে পাকিস্তানের করাচি থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হত। জেরায় ধৃত জঙ্গিরা কবুলও করে যে, সাধারণ মানুষ মেরে সারা দেশে টেরর স্ট্রাইক করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
একদিকে যখন ধৃত জঙ্গিদের জেরায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে, ঠিক তখনই ধৃত ৯ জঙ্গির মধ্যে ৪ জনের অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের টাকার হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। আবু সুফিয়ান, নাজমুস সাকিব, আতাউর রহমান ও মুর্শিদাবাদ হাসান- এই ৪ জনের অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের টাকার হদিশ মিলেছে। মাস দুয়েকের মধ্যেই এই টাকার লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
কোথা থেকে এই টাকা এসেছে, কোন পরিকল্পনায় এই টাকা ব্যবহার করা হত, ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে NIA এখন তার খোঁজ পাওয়ারই চেষ্টা করছে। NIA-এর পাশাপাশি ধৃত জঙ্গিদের জেরা করতে চায় রাজ্য পুলিস এবং STF-ও। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও জলঙ্গি থেকে ধৃত ৬ জন জঙ্গি-ই নয়, কেরলে গ্রেফতার হওয়া ৩ জঙ্গি কেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় STF। কারণ ওই ৩ জনই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করত। উল্লেখ্য, দিল্লি গিয়ে একসঙ্গে সবাইকে জেরা করতে চায় STF।
আরও পড়ুন, পথের প্রশ্নের 'উত্তর' মিলল রেলপথে! ট্রেনেই মৃত্যু ৯৭ জনের, জানালেন রেলমন্ত্রী