১৩০ আসন দাবি অধীরদের, আলোচনাতেও কাটল না বাম-কংগ্রেস জোটের জট

ফের ২৫ জানুয়ারি আলোচনা হবে দুপক্ষের। তবে সেদিন আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী থাকবেন না। 

Reported By: মৌমিতা চক্রবর্তী | Updated By: Jan 17, 2021, 09:39 PM IST
১৩০ আসন দাবি অধীরদের, আলোচনাতেও কাটল না বাম-কংগ্রেস জোটের জট

নিজস্ব প্রতিবেদন- বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। এখনও বাম-কংগ্রেসের আসন নিয়ে সমস্যা মিটল না। রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন বাম-কংগ্রেসের নেতৃত্ব। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য ও সিপিআইয়ের স্বপন বন্দোপাধ্যায় ছিলেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। এদিন আলোচনা শেষে আসন রফা নিয়ে দর কষাকষি চলল দুপক্ষের মধ্যে। কিন্তু শেষমেশ ফল কিছুই বেরোল না।

জানা গিয়েছে, বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে ১৩০ আসনের দাবি করা হয়েছিল। এমন দাবি মেনে নেয়নি বাম নেতৃত্ব। ফের ২৫ জানুয়ারি আলোচনা হবে দুপক্ষের। তবে সেদিন আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী থাকবেন না। ফলে সেদিনও আসন রফা হওয়ার আশা কম। তবে চলতি মাসেই যে বাম-কংগ্রেসের আসন রফা হয়ে জোটের রাস্তা সুগম হবে, তার ইঙ্গিত রয়েছে।  মুর্শিদাবাদ, মালদা ও পুরুলিয়া জেলার মূলত কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। আর এই জেলাগুলি নিয়েই যাবতীয় জটিলতা তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গতবার আসন ছিল ৯২। এবার আরও প্রায় ৩০টি বেশি আসন চেয়েছে কংগ্রেস। যা মেনে নিচ্ছে না বাম নেতৃত্ব। এদিন বিমান বসু কংগ্রেস নেতৃত্বকে বলেন, ''বামেদের ১৬ দলের বাইরেও আপনাদের মান্নান বাবু ও আমাদের সেলিম ফুরফুরা সহ যেসব জায়গায়  বৈঠক করছেন, সেই ক্ষেত্রেও আসন ছাড়তে হতে পারে। তাই এভাবে আসন সংখ্যা বলা সম্ভব নয়। আপনারা আপনাদের নির্দিষ্ট আসন তালিকা দিন।''

আরও পড়ুননদিয়া TMC-তে বড়সড় ভাঙন! BJP-তে যোগ দিলেন ৩০০ কর্মী, অধিকাংশই সংখ্যালঘু

পরস্পরের সঙ্গে তিক্ততা চায় না বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। আসন রফা যাতে মসৃন হয়, তার জন্য দুপক্ষই চেষ্টা করছে। তবে আলোচনায় বসলেই অন্য ছবি দেখা দিচ্ছে। কংগ্রেসের প্রস্তাব মানছে না বাম। এদিকে কংগ্রেসের তরফেও আসন নিয়ে নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখানো হচ্ছে। বাম নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র বেরিয়ে আসবে। অধীর চৌধুরী এদিন জানিয়েছেন, বামফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে ফের আলোচনা হবে। কংগ্রেসের নেতৃত্বও মিটিং করবে। আসন রফা মানে একটা প্রক্রিয়া। তাই সময় তো লাগবেই।

.