বিনা অনুমতিতেই 'গণতন্ত্র বাঁচাও' দিবসের প্রস্তুতি বিজেপির, পুলিসি নির্দেশে সরাতে হল ধরনা মঞ্চ
পূর্ব ঘোষণা মতো মেদিনীপুর শহরের এলআইসি-র চকে জোর কদমে চলছিল মঞ্চ বাঁধার কাজও। তবে হঠাত্ বিপত্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার সারা রাজ্য জুড়ে 'গণতন্ত্র বাঁচাও' অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আর আগের রাত থেকেই ক্রমশ পারদ চড়তে শুরু করল মেদিনীপুর জেলা সদরে। পূর্ব ঘোষণা মতো মেদিনীপুর শহরের এলআইসি-র চকে জোর কদমে চলছিল মঞ্চ বাঁধার কাজ। তবে হঠাত্ বিপত্তি। উপযুক্ত অনুমতি না থাকায় মঞ্চে সরাতে হবে বিজেপিকে, কড়া বার্তা আসে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিসের তরফে। ঘটনাস্থলে আসে জেলা বিজেপির সভাপতি শমিত কুমার দাস।
আরও পড়ুন: অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে ব্যাপক বোমাবাজি, দুষ্কৃতী তাণ্ডবে উত্তপ্ত ভাটপাড়া
উপায় না দেখে শেষমেশ মঞ্চে সরাতে কার্যত বাধ্য হয় বিজেপি শিবির। বিজেপি অবশ্য ঘটনার দায় চাপিয়েছে শাসক শিবিরের ওপরই। জেলা বিজেপির সভাপতি শমিত কুমার দাসের অভিযোগ, কোনও তৃণমূল নেতার কথাতেই শেষ মুহূর্তে হেনস্থা করছে পুলিস। জেলা বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, পুলিসের কাছে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া হলেও অনুমতি মেলেনি।
বিজেপিকে পাল্টা নিশানা করেছে তৃণমূলও। জেলা তৃণমূল সভাপতির অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতেও কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই মঞ্চ তৈরি করে বিপাকে পড়েছে বিজেপি। ঘটনায় পুলিসের পাশেই দাঁড়িয়েছে তৃণমূল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। গোটা বিষয় নিয়ে পুলিস সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই মনে করছে জেলা তৃণমূল সভাপতি।
পাখির চোখে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য গণতন্ত্র বাঁচাও দিবসের ডাক দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই দিন রাজ্য জুড়ে প্রায় ৮১টি বিডিও অফিসের সামনে ধরনায় বসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।