Corruption in Bankura Municipalty: মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র? বিতর্কে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান
বিরোধীদের অভিযোগে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।

মৃত্যুঞ্জয় দাস: পুরসভার দুর্নীতি? সরকারি প্রকল্পে স্বজনপোষণ? কাঠগড়ায় খোদ পুরপ্রধান। বিরোধীদের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। ঘটনাস্থল, সেই বাঁকুড়া।
ঘটনাটি ঠিক কী? লক্ষ্য, পুর এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন। বাঁকুড়া শহরে ১০ সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার অনুমোদন দিয়েছে স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি বা সুডা। এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি চালু করা ও পরিচালনার দায়িত্ব পুরসভার। বাঁকুড়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিজস্ব ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বিভিন্ন ওয়ার্ডে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা হবে ভাড়াবাড়িতে। আর তাতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
কেন? বাঁকুড়া শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোদ পুরসভার চেয়ারম্য়ান অলকা সেন মজুমদার। শুধু তাই নয়, ওই ওয়ার্ডেই আবার তাঁর মেয়ের শ্বশুরবাড়ি। বিরোধীদের অভিযোগ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে যে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলেছে পুরসভা, সেই বাড়িটি পুরপ্রধানে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি! ভাড়া বাবদ মেয়ে মোটা অংকের টাকা পাইতে দিতে নিজের প্রভাব খাটিয়ে একাজ করেছেন পুরপ্রধানই।
যদিও স্বজনপোষণের অভিযোগ মানতে নারাজ বাঁকুড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, নিজস্ব ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ভাড়াবাড়িতেই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালুর নির্দেশ দিয়েছিল সুডা। কিন্তু ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভাড়া নেওয়ার উপযুক্ত কোনও বাড়ি পাওয়া যায়নি। সেকারণে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে রীতিমতো চুক্তি করে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছে পুরসভা।
এদিকে কল্য়াণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার। অভিযোগ, নিজের প্রভাব খাটিয়ে কল্য়াণী এইমসে অস্থায়ী পদে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। স্রেফ বিধায়ক কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ নয়, বিজেপি বিধায়ককেও তলব করেছে সিআইডি। জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে।
অধ্যাপক হিসেবে কারা চাকরি পেলেন? গ্রুপ ডি পদেইবা কাদের নিয়োগ করা হল? নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। কয়েকদিন আগে ঘটনার সিবিআই ও ইডি তদন্তের দাবিতে পোস্টার পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিলে। শুধু তাই নয়, সাদা কাগজের সেই পোস্টারে লেখা ছিল, 'বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগে সরাসরি পার্থের হাত, তদন্ত চাই'। এর আগে, প্রকাশ্য়ে সভায় বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্য়ালয়ে চাকরি পেয়েছেন তৃণমূল নেতাদের আত্মীয়রা। নেট পাস না করেও অধ্য়াপনা করছেন অনেকেই। রাজ্যে পালাবদলের পর বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। এমনকী, সেই ঘোষণা এক বছরের মধ্যে পঠনপাঠনও শুরু হয়ে যায় বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।