চুরি করতে না চাইলেই গরম তাওয়া, লোহার শিকের ছ্যাঁকা!
বাবা, মা নেই। অনাশ শৈশব নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঠাঁই নিয়েছিল কাকু-কাকিমার কাছে। কিন্তু সেখানেও চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয় ১২ বছরের বালকটিকে। প্রাণ বাঁচাতে বিহারের বেগুসরাই থেকে আসানসোলে পালিয়ে আসে নির্যাতিতা বালকটি। কিন্তু অভিযোগ, নির্যাতিত বালকটিকে দেখেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি আসানসোল আরপিএফ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাবা, মা নেই। অনাথ শৈশবে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শিশুটি ঠাঁই নিয়েছিল কাকা-কাকিমার কাছে। কিন্তু সেখানে চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয় ১২ বছরের বালককে। প্রাণ বাঁচাতে বিহারের বেগুসরাই থেকে আসানসোলে পালিয়ে আসে নির্যাতিতা বালকটি। কিন্তু অভিযোগ, নির্যাতিত বালকটিকে দেখেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি আসানসোল আরপিএফ।
অভিযোগ, অনাথ বালকটিকে চুরি করার জন্য জোর করত কাকু ও কাকিমা। বালকটি চুরি করতে না চাইলে চলত অত্যাচার। গরম তাওয়া ও লোহার শিক দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হত তাকে। অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে পালায় ওই বালক। ট্রেনে চড়ে পড়ে সে। তারপর সোজা আসানসোলে এসে উপস্থিত। এদিকে, ছ্যাঁকা জায়গায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে রক্ত ও পুঁজ বেরনোর পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণও।
আরও পড়ুন, 'এসপি থেকে ওসি হতে চাই না', জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়ে বললেন কৃষ্ণেন্দু
কিন্তু আসানসোলে পৌঁছানোর পর আরপিএফও নির্যাতিত বালকটিকে দেখে প্রথমে এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ। শেষে যাত্রীরাই তত্পর হয়ে নির্যাতিত বালকটিকে হাসপাতালে ভর্তির উদ্যোগ নেয়। পরে এগিয়ে আসে পুলিশ ও আরপিএফ। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্যাতিত বালকটিকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিত্সা চলছে তার।