Panchayat Election 2023: বাম-তৃণমূলের যৌথ বোর্ডে হয়েছে উন্নয়ন, এবার কে জিতবে খেপুত পঞ্চায়েত?
সামনে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন বর্তমানে খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। এবারেও প্রধান পদ মহিলা সংরক্ষিত। দলের টিকিট পায়নি প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান চন্দনা বেরা সাঁতরা। অপরদিকে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সৈয়দ হাসিনুর রহমান সিপিআইএম-এর টিকিট পেয়ে শুরু করেছেন প্রচার।
চম্পক দত্ত: রাজ্যে নজির বলা যেতেই পারে। গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান আর সঙ্গে সিপিএম-এর উপপ্রধান। এবারে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত সকলেই। শাসক বিরোধী দুই দলেই চাইছে একক ভাবে ক্ষমতায় আসতে।
বামফ্রন্ট ও তৃণমূলের যৌথ বোর্ড পাঁচ বছর ধরে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করেছে দাবি এলাকাবাসীর। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সার্বিক উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ভোট প্রচারে নেমেছে দুই রাজনৈতিক দল। এবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে উন্নয়নকে হাতিয়ার করছে সিপিএম-তৃণমূল। পাল্টা দুই দলের বিরুদ্ধে প্রচার করে গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসতে চাইছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: 'হেরে গেলে পঞ্চায়েতের কোনও সহযোগিতা ও উন্নয়ন পাবেন না, তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতেই হবে'
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েত। ২০১৮ সালে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের দশটি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন পায় বামফ্রন্ট। টসের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের চন্দনা বেরা সাঁতরা, উপপ্রধান নির্বাচিত হন বামফ্রন্টের সৈয়দ হাসিনুর রহমান। দুই রাজনৈতিক দলই স্বীকার করছে যে যৌথ বোর্ডে এলাকার উন্নয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: উত্তরবঙ্গের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের, আনন্দ বোসকে কালো পতাকা দেখাল তৃণমূল
সামনে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন বর্তমানে খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। এবারেও প্রধান পদ মহিলা সংরক্ষিত। দলের টিকিট পায়নি প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান চন্দনা বেরা সাঁতরা। অপরদিকে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সৈয়দ হাসিনুর রহমান সিপিআইএম-এর টিকিট পেয়ে শুরু করেছেন প্রচার।
খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি আসনে তৃণমূল, সিপিআইএম ও বিজেপি আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বিঘ্নে প্রচার করছেন এলাকায়। সকল রাজনৈতিক দলই জয়ের ক্ষেত্রে আশাবাদী। সময়ের অপেক্ষা শেষ হাসি ফুটবে কোন রাজনৈতিক দলের।
এবারের পঞ্চায়েত বোর্ড একক কোনও রাজনৈতিক দল দখল করে নাকি ফের যৌথ ভাবে যেকোনও দুই রাজনৈতিক দলের হাতে খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েত তুলে দেয় সাধারণ মানুষ সেটাই দেখার।