Panchayat Election 2023: গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, ভোটের আগেই 'জয়ী' তৃণমূল!
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এবার জেলায় ৬৭১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে কোনও ভোট হবে না। আর পঞ্চায়েত সমিতির ৭৬টি আসনে বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী না থাকায়, সেই আসনগুলিতেও ভোট হচ্ছে না।
অরূপ লাহা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দাখিলে বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সিপিআইএম। তবুও এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় সুনিশ্চিত করে ফেলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। এতে চরম ক্ষোভে ফুঁসছে বিরোধী শিবির।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এবার জেলায় ৬৭১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে কোনও ভোট হবে না। আর পঞ্চায়েত সমিতির ৭৬টি আসনে বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী না থাকায়, সেই আসনগুলিতেও ভোট হচ্ছে না। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, কেতুগ্রামের পাশাপাশি ভোট না হওয়ার তালিকাতে বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকও রয়েছে। এই ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৬টি আসনে ভোট হচ্ছে না। এছাড়াও আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে ৫৮টি, মন্তেশ্বরে ৪৬টি, ভাতারে ৩৮টি, জামালপুরে ২৬টি, খণ্ডঘোষে ২৭, রায়না ১ নম্বর ব্লকে ২১টি আসনে ভোট হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের পাশাপাশি আউশগ্রামে ৮টি এবং ভাতারের ৫টি আসনে ভোট হচ্ছে না। আর কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকে ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ১টি পঞ্চায়েত সমিতি আসনে ভোট হচ্ছে না। তবে কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের সব আসনেই ভোট হবে।
জেলায় পঞ্চায়েতে ৪০১০টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৩০৩৯টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ৬৪০টি আসনের মধ্যে ৫৪৬টিতে সিপিএম মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক পিছনে রয়েছে বিজেপি। তারা পঞ্চায়েতে স্তরে ১৯৩৪টি আর সমিতিতে ৪০৯টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতি ও কেতুগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। মোট ২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২ টি পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মনোনয়ন দাখিলে ক্ষেত্রে শাসকদলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থেকে সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন। জেলা সিপিএমের সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, "তৃণমূলের সন্ত্রাসের মধ্যেও আমরা এবার মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। সে জন্য সিপিআইএম পঞ্চায়েত স্তরে ৮৫ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়াও সহযোগী দলেরা রয়েছে। যদিও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ বলেন, “বিরোধীরা যাতে ঠিকমতো মনোনয়ন দিতে পারে তার জন্য তৃণমূলের নেতা-বিধায়করা নিজেরা তদারকি করেছেন। আসলে বিরোধীদের পাশে মানুষ নেই । সেটা আড়াল করতেই তারা শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। বিজেপি নেতা সুধীররঞ্জন সাউ বলেন, মনোনয়ন জমা দিতে গেলে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস করে আমাদের বাধা দেয়। এখনও মনোনয়ন তুলতে আমাদের প্রার্থীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। একই অভিযোগ কংগ্রেসেরও। কংগ্রেস নেতা গৌরব সমার্দার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই মনোনয়নে বাধা দিয়েছে।
আরও পড়ুন, Panchayat Election 2023: ছিঁড়ে দেওয়া হল মহিলাকর্মীর শাড়ি? দিনহাটায় মুখোমুখি তৃণমূল-বিজেপি...