আমফানের আস্ফালন আর বাঘের গর্জনে ঘুম ছুটেছে সুন্দরবনের মত্সজীবীদের
মত্সজীবীরা জানাচ্ছেন, আমফানের আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। সম্প্রতি আয়লা, বুলবুলে তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু

নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিকে আমফানের আস্ফালন। অন্য দিকে বাঘ্রগজর্ন। উভয়সঙ্কট সুন্দরবনবাসীর। নদীতে কাঁকড়া, মাছ খেতে মে-জুনে সাধারণত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার চলে আসে লোকালয়ের কাছাকাছি। যেখানে মাছ-কাঁকড়া বেশি সেখানেই ভিড় করেন মত্সজীবীরাও। আর তাতেই ঘটে যায় অঘটন।
মত্সজীবীরা জানাচ্ছেন, আমফানের আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। সম্প্রতি আয়লা, বুলবুলে তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু। তা গুছিয়ে উঠতে না উঠতে আবার আরও একটি ঝড়ের ভ্রুকূটি। একেই লকডাউনের জেরে টান পড়েছে পেটে। তারপর আমফানের আস্ফালন। সতর্কতা জারি থাকা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে নদীতে যেতে হচ্ছে মত্সজীবীদের।
আরও পড়ুন- মর্নিং ওয়ার্ক করতে গিয়ে হাতির হাতে প্রাণ গেল কিশোরের
মত্সজীবী সন্তোষ গায়েনের কথায়, “পেটের টানেই নদীতে যেতে হচ্ছে আমাদের। যে সব খাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়া বেশি পাওয়া যায়, সেখানেই থাকে বাঘের উপদ্রুবও। সব সময় প্রাণ হাতে নিয়ে মাছ ধরতে হচ্ছে।” কোনও উপায় না থাকায় গভীর জঙ্গলে খাড়িতে গিয়ে মাছ ধরতে হয় তাঁদের। মাঝে মধ্যে মত্সজীবীদের খোঁজ মেলে না। পরে গভীর জঙ্গলে পাওয়া যায় দেহ। বাঘের আতঙ্ক বুকে নিয়ে মাছ ধরাই এখন মত্সজীবীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর দোসর আমফান। ফের সব কিছু তছনছ হওয়ার আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছেন সুন্দরবনবাসীরা।