Canning: ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা খুনে আটক ৯, সন্দেহের তির দলেরই এক কর্মীর দিকে
স্থানীয় সূত্রে খবর, রফিক একজন তৃণমূল কর্মী। তার বাড়ি সাতমুখী ব্রিজের কাছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্যানিংয়ের যুব তৃণমূল নেতা মহরম সেখের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করল পুলিস। অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে এলাকার তৃণমূল কর্মী রফিক সেখের। অভিযোগ, সিসিটিভির ফুটজেও তাকে দেখা গিয়েছে।
মৃত মহরম সেখের স্ত্রীর অভিযোগ, হামলাকারীদের মধ্যে ছিল রফিক। গতকাল রাতে রফিক সেখের বাড়িতে তল্লাশি চালায় বারুইপুর ও ক্য়ানিং থানার পুলিস। মাতলার এক শাখা নদীর পাড়েই বাড়ি রফিকের। সেই বাড়ির নীচের তলার ঘরে বেশকিছু অবৈধ কাজকর্ম করত বলে অভিযোগ। পুলিস এলেও ধরতে পারেনি রফিক ও তার সঙ্গীসাথীদের। তারা এখন পলাতক। এদিকে, আরও একটি বিষয় হল, অটো থেকে নেমে যারা মহরম সেখের উপরে গুলি চালিয়েছে তাদের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেলেও অভিযুক্তদের তালিকায় তারা নেই।
আরও পড়ুন- Chennai Rain: বৃষ্টি বিধ্বস্ত চেন্নাই, বাতিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অনেক ট্রেন
স্থানীয় সূত্রে খবর, রফিক একজন তৃণমূল কর্মী। তার বাড়ি সাতমুখী ব্রিজের কাছে। মাতলা নদীর শাখা ছোট নদীর পাশে দুতলা বাড়ি। এর মাটির নিচে গোপন ডেরা করা আছে। সেখানেই রফিক সেখ থাকতো। সেই গোপন ডেরার পাশে নদীতে একটি নৌকা রাখা আছে। পাশে আছে সাতমুখী ব্রিজ ব্রিজের তলায় গোপন রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে পাঁচজন ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে তারা এলাকারই বাসিন্দা। সবাই তৃণমূল সমর্থক।
উল্লেখ্য, গতকাল রাত দুটো নাগাগ এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ তৃণমূলে নেতা মহরম সেখের। বুকে লাগা গুলির ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি।
শনিবার সন্ধেয় মহরম শেখ বাড়ির সামনের পার্টি অফিসে যান। দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেরার সময় তাঁকে ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এরপরেই পরপর তিনটি গুলি চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। একটি গুলি লাগে তাঁর মাথায়। অন্য দুটি গুলি তাঁর বুক ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তড়িঘড়ি মহরমকে নিয়ে য়াওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।