Medinipur : পেটে ৭ মাসের মৃত সন্তান, ৬ ঘণ্টা বসেও বেড অমিল, প্রসূতিকে ফেরাল হাসপাতাল
"গর্ভস্থ সন্তান ৪ দিন আগেই মৃত। তাই প্রসূতিকে ভর্তি নেওয়া হবে না।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: রেফার যন্ত্রণার শিকার এবার প্রসূতি। গর্ভস্থ ৭ মাসের মৃত সন্তানকে নিয়ে প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি না নিয়েই ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা হাসপাতালে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকলেও কোনও সুরাহা হয়নি। চরম হয়রানির শিকার হতে হল প্রসূতির পরিবারকে।
গায়ে জ্বর। সেইসঙ্গে গর্ভের সন্তানের সেভাবে কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না। তাই বৃহস্পতিবার রাতে তড়িঘড়ি খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খড়্গপুরের পালঝাড়ি এলাকার বাসিন্দা মমতা রানাকে। বয়স ২৩ বছর। সেইসময় খড়গপুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছিলেন যে, গর্ভস্থ সন্তানের মুভমেন্ট ঠিক আছে। সকালে ইউএসজি করা হবে। সেইমত শুক্রবার সকালেই প্রসূতির আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয় হাসপাতালের তরফে। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই রিপোর্ট দেখে মমতার পরিবারকে চিকিৎসকেরা জানান যে, তাঁর গর্ভস্থ ৭ মাসের সন্তান মৃত। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন প্রয়োজন বলেও জানান চিকিৎসকেরা। পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে এরপর শনিবার সকালেই প্রসূতিকে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
মাতৃযানে করে প্রসূতিকে খড়্গপুর থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবার। সেখানে ফের আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। চিকিৎসকেরা সেই আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট দেখে জানান যে, মমতাদেবীর গর্ভস্থ সন্তান ৪ দিন আগেই মৃত। তাই প্রসূতিকে ভর্তি নেওয়া হবে না। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয় চিকিৎসকদের তরফে। চিকিৎসকের পরামর্শ শুনে রীতিমতো ফাঁপড়ে পড়েন প্রসূতির পরিজনেরা। অভিযোগ, দীর্ঘ কাকুতি-মিনতির পরেও প্রসূতিকে ভর্তি নেওয়া হয়নি হাসপাতালে। প্রায় ৬ ঘণ্টা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা ভবনের সামনে বসে থাকার পর কার্যত দিশেহারা অবস্থা হয় প্রসূতির পরিবারের। কোথায় গেলে চিকিৎসা মিলবে? ভেবেই কুল পায় না মমতা রানার পরিবার। শেষমেশ আবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয় প্রসূতিকে।
আরও পড়ুন, Covid 19: রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের, কলকাতা ও হাওড়া নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ
যদিও গোটা বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যালকে একাধিকবার ফোন করলেও মেলেনি উত্তর। 'রেফার রোগ' কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া দাওয়াইয়ের পরেও চিত্রটা যে খুব একটা বদলায়নি তা কার্যত শনিবারের এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)