পুরুলিয়ায় তৃণমূল কর্মী খুনে পুলিস হেফাজতে ধৃত ২ জন
বুধবার ভোরে কালিপুজোর বলি দানের মাংস কাটার সময় তৃণমূল কর্মী পিন্টু সিনহাকে গুলি করে আততায়ীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরুলিয়ার পুঞ্চায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতদের নাম বাবু বাউড়ি ও ইন্দ্র রায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪৫০,৩০৭,৩২৬ ও ২৫ ও ২৭ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের আইনজীবী জানিয়েছেন, এফআইআর বাবু ও ইন্দ্রের নাম নেই। তবে কেন তারা তৃণমূলকর্মীকে খুন করতে গেল, তা এখনও পুলিসের কাছে স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা, সেটাও স্পষ্ট নয়। যদিও ধৃতদের নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করছেন।
বুধবার ভোরে কালিপুজোর বলি দানের মাংস কাটার সময় তৃণমূল কর্মী পিন্টু সিনহাকে গুলি করে আততায়ীরা। আহতকে চিকিত্সার জন্য প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান তেকে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হাসপাতালে, পরে এসএসকেএমে রেফার করা হয় পিন্টুকে। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ১৭ মিনিটে মারা যান ওই তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ধিক্কার মিছিল বের করবে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জি ২৪ ঘণ্টাকে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, “বিজেপির স্থানীয় নেতারা ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের মদতে তৃণমূল কর্মীদের খুন করে এলাকার উন্নয়ন থমকে দিতে চাইছেন। পুরুলিয়া তথা বাংলার মানুষ খুনের রাজনীতি অনেকদিন আগে বর্জন করেছে। আমি আবার পুরুলিয়া যাব। আমাদের পার্টির সব স্তরের নেতা কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পালিয়ে পার পাবে না। শেষ ঠাঁই জেলেই হবে''। গ্রামের নির্বিবাদী ছেলে পিন্টু সিনহাকে কেন কেউ এভাবে খুন করতে গেল, তার উত্তর খুঁজছেন গ্রামবাসীরাও।