Medical Intern Death: ডাক্তারিতে সাফল্যর উপায় সার্চ নেটে! জন্মদিনের আগেই অস্বাভাবিক মৃত্যু জুনিয়র ডাক্তারের
বুধবার তার কোনও খোঁজ না মেলায় বৃহস্পতিবার সকালবেলা পরিবারের তরফে তার ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে তাঁরা সফল না হলেও দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তাঁরা ঘরে প্রবেশ করেন এবং তারপরই তাঁরা শুভ্রজ্যোতিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিমতায় ডাক্তারি পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু। মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃতের নাম শুভ্রজ্যোতি দাস। বয়স ২৩ বছর। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন ছিল শুভ্রজ্যোতি দাস। জানা গিয়েছে, ৬ বছর ধরে নার্ভের ওষুধ খাচ্ছিল শুভ্রজ্যোতি। অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলেই মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। অবসাদ কাটানোর উপায় ও ডাক্তারি ক্ষেত্রে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায়, তা নিয়ে শুভ্রজ্যোতি নেটে সার্চও করেছিল। শুভ্রজ্যোতির মোবাইল ঘেঁটে তেমনটা জানতে পারেন পরিবারের লোকেরা। ছোটবেলা থেকে নিমতা গোলবাগানে কাকার বাড়িতেই থাকত শুভ্রজ্যোতি। তবে পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের লোকজনের সাথে সেভাবে মেলামেশা করত না।
মানসিক অবসাদে ভোগা এই জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার শেষবারের মতো তাঁরা তাকে দেখতে পান। এরপর বুধবার তার আর কোনও খোঁজ পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকেরা জুনিয়র ডাক্তারের ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সে অচৈতন্য অবস্থায় বিছানার ওপরে পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, মেধাবী ছাত্র শুভ্রজ্যোতি ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই নার্ভের সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনার পর থেকেই তা বাড়তে থাকে এবং মানসিক অবসাদে চলে যায় সে। বাড়িতে কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলত না। নিজের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত সে। এই জন্য কেউ তাকে বিরক্তও করত না। বুধবার তার কোনও খোঁজ না মেলায় বৃহস্পতিবার সকালবেলা পরিবারের তরফে তার ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে তাঁরা সফল না হলেও দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তাঁরা ঘরে প্রবেশ করেন এবং তারপরই তাঁরা শুভ্রজ্যোতিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়।
আগামিকাল ১৩ অগাস্ট জন্মদিন শুভ্রজ্যোতির। তার আগেই এই ঘটনায় হতবাক সবাই। পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সূত্রে দাবি, অবসাদ কাটানোর উপায় ও ডাক্তারি ক্ষেত্রে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায় তা নিয়ে নেটে সার্চ করত শুভ্রজ্যোতি। বেশ কয়েকবার পরিবারের লোকেরা শুভ্রজ্যোতির মোবাইল ঘেঁটে এমন তথ্য পেয়েছে। এখন অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণেই কি এই জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু নাকি মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই সেই ধোঁয়াশা পরিষ্কার হবে।
আরও পড়ুন, Jadavpur University Student Death: ছেলে দোষী হলে কঠোর শাস্তি হোক: সৌরভের বাবা, ফাঁসানোর দাবি মায়ের