বঙ্গ জননী অনুষ্ঠানে গেলেন না বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কীসের ইঙ্গিত?
কেন এলেন না, তা নিয়ে মুখও খুললেন না হাওড়া জেলায় তৃণমূলের সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ''স্তাবকতায় বিশ্বাসী নই, ন্যাচরালি নম্বর কম, দুর্নীতিগ্রস্তরা সামনের সারিতে।'' কিছুদিন আগেই একটি অরাজনৈতিক অনু্ষ্ঠানে এমনটাই বলেছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীর পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে থাকা নিয়েও তরজা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনা আরও একটু উস্কে দিলেন বনমন্ত্রী নিজেই। আরও একবার দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে গেলেন তিনি। আর সেইসঙ্গে নতুন করে শুরু হয়ে গেল তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা-কল্পনা।
আরও পড়ুন- '...পদ্মফুলে যত মত তত পথ', উদয়ন সাহার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক
হাওড়ায় বঙ্গ জননী অনুষ্ঠানে আসার কথা থাকলেও এলেন না বনমন্ত্রী। কেন এলেন না, তা নিয়ে মুখও খুললেন না হাওড়া জেলায় তৃণমূলের সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা। শুধু জানালেন, সবারই নিজস্ব কিছু কাজ থাকে। সেই কাজে আটকে পড়ার জন্যই হয়তো এদিন আসতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিচারে তাঁর এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এদিকে সূত্রের খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁকে আলোচনায় বসার ডাক দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই বৈঠকের সম্ভাবনা দুপক্ষের। বৈঠকে যাবেন বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাও জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
এদিকে আবার শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। দলীয় কোনো প্রতীক ছাড়া শুভেন্দু ও রাজীবের পোস্টার দেখা গেল এবার। লেখা, আমরা দাদার অনুগামী। সকাল থেকে এরকম কিছু পোস্টার দেখা গিয়েছে শিবপুর বিধানসভা এলাকার রামরাজাতলায়। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা জানা যায়নি।কিছুদিন আগে প্রথমে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানার দেখা গিয়েছিল হাওড়া শহরে। এরপর বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-এর পোস্টার লাগানো হয়েছিল শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এমনকী নবান্নের সামনেও। দুই নেতা এখন রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। দলের বিরুদ্ধে বেসুরো সুর দুজনের গলাতেই।