বাদুড়িয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে তত্পর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব, ২০ হাজার পরিবারে পৌঁছল ত্রাণ
খড়মপুর থেকে এদিন শুরু হয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। পায়ে হেঁটে প্রতিটি পরিবারের দরজায় দরজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিলেন জেলা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ।
দুর্দিনে কেউ যেন অভুক্ত না থাকেন, তার জন্য হাসনাবাদের গ্রামে গ্রামে ত্রাণ বিলি করছেন জেলা তৃণমূল নেতারা। আজ কুড়ি হাজার পরিবারের হাতে চাল-ডাল-তেল তুলে দেওয়া হল। শিশুদের জন্য দেওয়া হল বেবি ফুডও। দুদিন আগে বাদুড়িয়ার এছবি দেখে লজ্জায় মাথা হেঁট হয় রাজ্যের। ত্রাণের দাবিতে রাস্তায় বসেন মানুষ। পুলিস অবরোধ ওঠাতে গেলে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। অভুক্ত মানুষগুলোর ইটের ঘায়ে মাথা মাথে ওসির।
বাদুড়িয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে তত্পর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। হাসনাবাদের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছে দিতে সকাল থেকেই ময়দানে শাসক দলের নেতারা। লকডাউনে রুজিরুটি বন্ধ। হাতে টাকা নেই। সেকথা মাথায় রেখে বসিরহাট উত্তর ও সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জের নটি পঞ্চায়েত এলাকার ২০ হাজার পরিবারের হাতে চাল-ডাল-সরষের তেল তুলে দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
খড়মপুর থেকে এদিন শুরু হয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। পায়ে হেঁটে প্রতিটি পরিবারের দরজায় দরজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিলেন জেলা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। তাতে চাল-ডালের পাশাপাশি ছিল বেবি ফুডও। দু দফায় প্রায় ১০ হাজার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা।
আপাতত ৫০ কুইন্টাল চাল, কুড়ি বস্তা ডাল, দশ হাজার লিটার সরষের তেল পাঠানো হয়েছে। দুর্দিনে বাড়ির দরজায় দুমুঠো মিলছে। স্বস্তির হাসি গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলোর মুখে। কঠিন সময়ে শাসক দলের নেতাদের এমন উদ্যোগকে কুর্নিস জানাচ্ছেন ২০ হাজার পরিবারের দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষগুলো। আশ্বাস মিলেছে, লকডাউন বাড়লেও, এভাবেই বাড়ি বাড়ি পৌছে যাবে ত্রাণ।