Visva Bharati: ট্রাস্টের অনুমতি ছাড়াই বসানো হয়েছে ফলক, শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে
Visva Bharati: শান্তিনিকেতনের উপাসনাগৃহ, মূল আশ্রম প্রাঙ্গণ ট্রাস্টের সম্পত্তি। তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বে বিশ্বভারতী এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ
প্রসেনজিত্ মালাকার: শান্তিনিকেতনে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের স্বীকৃতি মেলার পরই ওয়ার্ল্ড 'হেরিটেজ' ফলক বসানো হয় শান্তিনিকেতনে। আর সেই ফলকে নেই স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম! বদলে রয়েছে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। এনিয়ে অভিযোগ জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীকেও। এবার এনিয়ে পুলিসের দ্বারস্থ শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
আরও পড়ুন-লোকসভা নির্বাচনের আগে আমজনতার জন্য বড় ঘোষণা করে দিলেন মোদী
কেন থানায় অভিযোগ? ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকার প্রতিবাদে শান্তিনিকেতনে কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান শুরু করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে ফলক বিতর্কে নতুন মোড়। শনিবার শান্তিনিকেতন থানায় দ্বারস্থ হয় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। অভিযোগ, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তি হওয়া সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়ায় উপাসনাগৃহ, ছাতিমতলা, শান্তিনিকেতন গৃহ-সহ মূল আশ্রম এলাকায় হঠাৎ করে অ-রাবীন্দ্রিক ফলক লাগানো হয়েছে। শান্তিনিকেতনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে এবং উপাসনা গৃহের শান্তি বিঘ্নিত করা হয়েছে।
শান্তিনিকেতনের উপাসনাগৃহ, মূল আশ্রম প্রাঙ্গণ ট্রাস্টের সম্পত্তি। তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বে বিশ্বভারতী এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ। এলাকাটি ১৫.৩ একর জায়গাজুড়ে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানায় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কুমার বলেন,"আমাদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ এবং অনুমতি না নিয়েই শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জায়গার উপর ফলক বাসায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অতীতে কখনও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও শান্তিনিকেতনে নাম ফলক দেওয়ার রীতিও নেই। আমাদের সম্পত্তির উপরে এ ধরনের ফলক দেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই কর্তৃপক্ষের। আইন বিরোধী কাজ করেছেন উপাচার্য। এই মর্মেই আমরা শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানিয়েছি।"
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শান্তিনিকেতনের পড়ুয়া-প্রাক্তনী-আশ্রমিকরা বলছেন,"গত পাঁচ বছরে বর্তমান উপাচার্য বিশ্বভারতীর হত্তা -কর্তা-বিধাতা হয়ে গিয়েছেন। প্রতি পদে পদে অপমান থেকে শুরু করে, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকেউ অস্বীকার করছেন তিনি। নিজের মতো করেই একের পর এক ঐতিহ্য ভেঙে ফেলতে চাইছেন। "যদিও চলতি বছরের ৮ নভেম্বর মেয়াদ শেষ হচ্ছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এরই মাঝে ছুটিতে রয়েছেন তিনি। মেয়াদ কি বৃদ্ধি পাবে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে শান্তিনিকেতনে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)