Durga Puja 2022: রুপোর ছাতা-পালকি-রাজস্থানি খিলান বা একটা গ্রাম্য পুজোর গল্প...
Gangatikuri Jamidar Bari : কথিত আছে, জমিদার ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদারি মহলের কাজ শেষে গরুর গাড়ি করে উদ্ধারপুরণ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে অন্ধকারে রাস্তায় অসহায় অবস্থায় এক গৃহবধূকে দাঁড়িয়ে থাকতেন দেখেন। সেই গৃহবধূর সঙ্গে ছিল দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান। তখন অসহায় বধূকে নিজের কাছারিতে আশ্রয় দিয়েছিলেন জমিদার ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাত শেষে সকালে গিয়ে দেখেন ওই পুত্র ও কন্যা সন্তান সহ গৃহবধূ কাছারিতে নেই।
![Durga Puja 2022: রুপোর ছাতা-পালকি-রাজস্থানি খিলান বা একটা গ্রাম্য পুজোর গল্প... Durga Puja 2022: রুপোর ছাতা-পালকি-রাজস্থানি খিলান বা একটা গ্রাম্য পুজোর গল্প...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/09/16/389822-gangakutir-rajbari-cover.png)
Gangatikuri Jamidar Bari, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জমিদারি নেই। নেই আগের মতো জৌলুস। তবে পূর্বপুরুষের নিয়ম রীতি মেনে আজও পুজো হয় পূর্ব বর্ধমানের গঙ্গাটিকুরির জমিদার ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজো। পুজোর ইতিহাস শুনলে যে কেউ চমকে যাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক জমিদার ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজোর ইতিহাস। জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি। আজও দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য বহন করেছে কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরির জমিদার ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজো। শুরুটা হয়েছিল ১২৯৭ বঙ্গাব্দে। আগের মতো জৌলুস না থাকলেও পুজো হয় পূর্ব পুরুষের রীতি রেওয়াজ মেনে। আজও রুপোর ছাতা নিয়ে পালকি করে ঘটে জল ভরতে যান পরিবারের সদস্যরা। তবে এই জমিদার বাড়ির পুজোর কাহিনি বলতে গিয়ে গা শিরশির করে পরিবারের সদস্যদের।
কথিত আছে, জমিদার ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদারি মহলের কাজ শেষে গরুর গাড়ি করে উদ্ধারপুরণ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে অন্ধকারে রাস্তায় অসহায় অবস্থায় এক গৃহবধূকে দাঁড়িয়ে থাকতেন দেখেন। সেই গৃহবধূর সঙ্গে ছিল দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান। তখন অসহায় বধূকে নিজের কাছারিতে আশ্রয় দিয়েছিলেন জমিদার ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাত শেষে সকালে গিয়ে দেখেন ওই পুত্র ও কন্যা সন্তান সহ গৃহবধূ কাছারিতে নেই। কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে গেছেন। চিন্তায় পড়ে ওই গৃহবধূর খোঁজে দারোয়ানকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন জমিদার। কিন্তু তাঁর খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। সেই রাতেই জমিদার স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নে দেবী তাঁকে জানান, এই বাড়িতেই থাকতে চান দেবী মহামায়া। একবার না, বেশ কয়েকবার দেবীর স্বপ্নাদেশ পান ইন্দ্রনাথ। স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী সব নিয়ম মেনেই ১২৯৭ বঙ্গাব্দে শুরু হয় গঙ্গাটিকুরি জমিদার বাড়ির পুজো।
আরও পড়ুন : Durga Puja 2022 : কনকদু্র্গার ভোগে হাঁসের ডিম, নবমীতে মোষের মাংস!
মা নয় এই জমিদার বাড়িতে মেয়ে হিসেবে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। দুর্গাপুজোর জন্য ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা দালান বাড়ি তৈরি করেন। সেই নাটমন্দিরের প্রতিটি খিলানে রাজস্থানী শিল্প কাজ করা। নান্দনিক শিল্প নৈপূন্যে ভরা গঙ্গাটিকুরির জমিদার বাড়ির ঠাকুর দালান। বর্তমানে পুজো মণ্ডপের নান্দনিকতায় আভিজাত্য আরও বেড়েছে। জমিদারিতে ইতি পড়লেও পরিবার রীতি নীতির সাথে আপস করতে নারাজ।