SSC Recruitment Scam: কাওকে টাকা দেননি! অথচ চাকরি বাতিলের তালিকায় বিজেপি নেতার মেয়ের নাম
চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি পদে চাকরি পেয়েছিলেন বাগদার প্রাক্তন বিধায়কের মেয়ে! এমনই অভিযোগ উঠছে। যদিও মেয়ের চাকরির জন্য তিনি কখনও কাউকে এক টাকাও দেননি বলে দাবি প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এসএসসি গ্রুপ সি (Group C) নিয়োগ বাতিলের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকার নাম প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের মেয়ের। বিজেপি নেতা দুলাল বরের কন্যা বৈশাখী বরের। শুক্রবার আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁর। ৪২৮ নম্বরে নাম দুলাল বরের মেয়ে বৈশাখির। তিনি ব্যারাকপুরের একটি স্কুলে কর্মরত ছিলেন। যদিও এ বিষয়ে সরকারের সিস্টেমের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন দুলাল বর। তার দাবি তিনি কাউকে এক টাকাও কখনো দেননি। মেয়ের বিয়ের পরে কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বা কিভাবে চাকরি পেয়েছে তা তিনি জানেন না।
আরও পড়ুন, Sealdah Train Cancelled: নৈহাটি-কল্যাণী স্টেশনের মাঝে চলছে কাজ! বাতিল একাধিক ট্রেন, চরমে ভোগান্তি
চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি পদে চাকরি পেয়েছিলেন বাগদার প্রাক্তন বিধায়কের মেয়ে! এমনই অভিযোগ উঠছে। যদিও মেয়ের চাকরির জন্য তিনি কখনও কাউকে এক টাকাও দেননি বলে দাবি প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের। এমনকি চন্দনের সঙ্গে জামাইয়ের কোনও যোগাযোগ ছিল কি না তাও তিনি জানেন না বলেই দাবি।
হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ওই তালিকা অনুযায়ী, ৪২৮ নম্বরে বৈশাখী বরের নাম রয়েছে৷ এ বিষয়ে তাঁর বাবা দুলাল বর বলেন, “পাঁচ-সাত বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ নদিয়ায় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম৷ বারাকপুরে কোন একটি স্কুলে এসে চাকরি করে৷ কীভাবে চাকরি পেয়েছে তা মেয়েই বলতে পারবে৷ মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে শ্বশুরবাড়ির প্রভাবই থাকে। আমি সারাজীবন কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি কাওকে টাকা দিইওনি।
অভিযোগ, চন্দনের সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের যোগাযোগ ছিল তার বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। ও এম আর শিট কারচুপির তালিকায় বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের মেয়ের নাম আশা প্রসঙ্গে এমনটা জানালেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী। দুলাল বরকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, এতদিন তিনি লোকের চাকরি নিয়ে কথা বলেছেন। তখন নিজের মেয়ের চাকরির কথাটাও বলতে পারতেন।
প্রসঙ্গত, যাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাঁদের সবারই যে নম্বর বাড়ানো হয়েছে, এমনটা নয়। অনেকের ক্ষেত্রে নম্বর কমানোও হয়েছে। ওএমআর শিটে বেশি নম্বর থাকলেও সার্ভারে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই নম্বর কারচুপির বিষয়টি স্কুল সার্ভিস কমিশনই আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল। সেই রিপোর্ট দেখে অবাক হয়ে যান হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই তিনি তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন, Weather Today: আবহাওয়ায় বড় বদলের আশঙ্কা, প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা কোন কোন জেলায়?