মোদীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত, তদন্তের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিচ্ছে বিজেপি
প্রধানমন্ত্রীর সভায় চরম বিশৃঙ্খলা। ভাষণ অর্ধসমাপ্ত রেখে মঞ্চ ছাড়েন মোদী।
অঞ্জন রায়
ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিশৃঙ্খলার ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির দাবি, বিশৃঙ্খলা করে সভায় ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ চলাকালীন ভেঙে যায় বাঁশের ব্যারিকেড। ভাষণের মাঝেই শুরু হয়ে যায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হুড়োহুড়ি। আহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটনায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে পারস্পরিক দোষারোপ। বিজেপির দাবি, পুলিসের গাফিলতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিস সুপার ও জেলাশাসকের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে নালিশ জানাতে চলেছে দিলীপ-মুকুল। তদন্তের দাবি করছে বিজেপি।
When I was shooting this I was sure this will not reach people there was chaos pandemonium .See situation in @narendramodi Thakurnagar rally @MamataOfficial pic.twitter.com/p1N25NWAPW
— Kamalika Sengupta (@KamalikaSengupt) February 2, 2019
ভিডিয়ো দেখে স্পষ্ট, উত্সাহী জনতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিমিত ব্যবস্থা ছিল না। বিজেপির দাবি, পুলিস কার্যত হাত-পা গুটিয়ে ছিল। বিশৃঙ্খলার মূলে রাজ্য প্রশাসনই। সভার উদ্যোক্তা শান্তনু ঠাকুরের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে উত্সাহী মানুষ। আর সে কারণেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কটাক্ষ, বিশৃঙ্খলাকারী দল বিজেপির থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না। বিজেপির একটা অংশ বলছে পুলিসি সাহায্য মেলেনি। তৃণমূলের অভিযোগ, সাংগঠনিক ব্যর্থতাতেই ফের একবার বিশৃঙ্খলা। কেন জনসভায় এত চেয়ার আনা হয়েছিল? উত্তর মেলেনি অবশ্য। তবে দুর্গাপুরে গোটা ঘটনায় অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই। পরামর্শ দেন, ধৈর্য্য ধরতে হবে।
আরও পড়ুন- চিটফান্ডকাণ্ডে কলকাতার পুলিস কমিশনারকে গ্রেফতার করতে চলেছে সিবিআই