শীতলকুচি-কাণ্ডে এবার এসডিপিও-কে তলব, হাজিরা দিল না সিআইএসএফ
এ দিনই সিআইএসএফ-এর চারজন কনস্টেবল, একজন ডেপুটি কম্যান্ডান্ট ও একজন ইন্সপেক্টরকেও তলব করেছিল সিআইডি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচি মামলায় এবার তলব করা হল কোচবিহারের মাথাভাঙার এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডলকে। বুধবার তাঁকে ভবানীভবনে আসতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভবানীভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মাথাভাঙা থানার সাব ইনস্পেকটর তথা গুলি-কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী গোবিন্দ দাসকে। ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন মাথাভাঙা থানার এই অফিসার আরটিও মোবাইলের দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন বুথে গোলমালের জেরে যখন সিআইএসএফ (CISF) গুলি চালায় এবং চারজনের মৃত্যু হয় সে সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দ। ঝামেলার খবর পেয়ে আরটিও মোবাইল নিয়ে ১২৬ নম্বর বুথে পৌঁছন তিনি। এর আগে মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসার, আইসি, সেক্টর এবং কিউআরটি অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এই প্রথম কোনো প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডির স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এর সঙ্গে সোমবার মাথাভাঙা থানার আইসি বীশ্বেশ্বর সরকারকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার কোচবিহার জেলার প্রাক্তন পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে তলবের তোড়জোড় শুরু করেছে সিট। খুব শীঘ্রই তাঁকে তলব করে নোটিস পাঠানো হবে বলে সিআইডি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: প্রথম পূর্ণমন্ত্রী পেল কালনা, অতিমারিতে মানুষের পাশে থাকতে চান স্বপন
এদিকে, নোটিসে পেয়েও সিআইএসএফের জওয়ানরা হাজিরা না দেওয়া এবার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সিআইডির সিট। আদালতের মারফত ফের নোটিস পাঠাতে চেয়ে কোচবিহার এসিজেএম আদালতে আর্জি জানানো হতে পারে বলে সিআইডি সূত্রের দাবি। দুই অফিসার-সহ ৬ জনকে আজ তলব করে সিট। পাল্টা চিঠি দিয়ে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি জানিয়েছিল সিআইএসএফ। কিন্তু তা খারিজ করে সশরীরেই আসতে হবে জানিয়ে দেয় সিআইডি। তারপরও হাজিরা না দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা-চিন্তা করেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার সাসপেন্ড করেছিল কোচবিহারের পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে (Debashis Dhar)।
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলখুচির (Sitalkuchi) জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় সমিউল মিয়াঁ, মণিরুল মিয়াঁ, হামিদুল মিয়াঁ এবং নুর ইসলাম মিয়াঁ নামে ৪ গ্রামবাসীর। কোচবিহারের পুলিস সুপার দেবাশিস ধর বলেছিলেন, প্রায় ৩০০ জন ঘিরে ধরেছিল বাহিনীকে। শূন্যে গুলি চালিয়েও তাদের সংযত করা যায়নি। আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিতে চেয়েছিল ভিড়। ফলে, গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা। তবে এসপি-র দাবি মানতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। গোটা ঘটনা অমিত শাহের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Covid রোগীদের জন্য এলাকায় অক্সিজেন বুথ, চিকিত্সায় ডাক্তারির ফাইনাল ইয়ারের পুড়য়ারা