বিধায়ক নন, সরিফুদ্দিনই কি ছিল টার্গেট? জয়নগরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

এলাকার বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস ও গৌর সরকার একদা ঘনিষ্ঠ ছিল। ২০১৬ সাল থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

Updated By: Dec 14, 2018, 11:46 AM IST
বিধায়ক নন, সরিফুদ্দিনই কি ছিল টার্গেট? জয়নগরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন: জয়নগর- হামলায় কে টার্গেট ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সরিফুদ্দিনই যে টার্গেট ছিলেন, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন: জয়নগরকাণ্ডের তদন্তভার CID-কে, CCTV ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৪ সন্দেহভাজন

এলাকার বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস  ও গৌর সরকার একদা ঘনিষ্ঠ ছিল। ২০১৬ সাল থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০১৭ সালে খুন হন গৌর সরকার ঘনিষ্ঠ খোকন। সেই খুনের নেপথ্যে নাম উঠে আসে সরিফুদ্দিন খানের। যদিও পুলিস তাকে সেই সময় গ্রেফতার করেনি।  গৌর  ঘনিষ্ঠ খোকন খুনে নাম উঠে আসে বিশ্বনাথ ঘনিষ্ঠ সরিফউদ্দিনের। তাকে পুলিস গ্রেফতার না করাতেই কি বদলার ছক কষা হয়? পরিকল্পনা করেই কি তাকে খুন করা হল?

সময় যত কাটছে জয়নগরকাণ্ডে ততই স্পষ্ট হচ্ছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দের তত্ত্ব। প্রাথমিক তদন্তে সিআইডির গোয়েন্দাদের অনুমান, পুরনো খুনের বদলা নিতেই শুক্রবার রাতের শ্যুটআউট। তবে টার্গেট ছিলেন না বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। বরং সরফুদ্দিনকে খুন করতেই এই হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।  সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতের হামলায় নিহত সরফুদ্দিন কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। বাবুয়া নামে অপর এক স্থানীয় দুষ্কৃতীর দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল সরফুদ্দিনের। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌর সরকারের অনুগামী এই বাবুয়া।

আরও পড়ুন: জয়নগরকাণ্ডের তদন্তভার CID-কে, CCTV ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৪ সন্দেহভাজন

যদিও বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে ইন্ডিয়ান অয়েলের  পেট্রোল পাম্পে  হামলার পর থেকেই বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস দাবি করছেন, তিনিই ছিলেন মূল লক্ষ্য। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।  প্রত্যেক দিন ওই গাড়িতেই পেট্রোল পাম্পের পাশে চায়ের দোকানে চা খান তিনি। সেদিনও যাচ্ছিলেন, তবে একটা কাজে গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নেমে যান তিনি। তারপরই হামলা হয়। প্রাথমিক তদন্তে এই বিষয়টি ভাবালেও. পরে  উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিধায়ক নন, আসলে সরিফুদ্দিনই ছিল হামলার মূল লক্ষ্য।  হামলায় নিহত হয়েছেন ওই গাড়ির চালক সেলিম খান, তৃণমূলনেতা সরিফুদ্দিন খান-সহ আরও এক ব্যক্তি। ঘটনার তদন্ত সিআইডির হাতে দেওয়া হয়। পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৪ দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা।  এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরা চলছে।

 

.